অনন্ত মহাকাশে পাড়ি দেবে মানুষ, ISRO-র উদ্যোগে মহাকাশ বিজ্ঞানে নয়া মাইলফলক ভারতের

Published on:

analog space mission

শ্বেতা মিত্র, কলকাতাঃ ভারত একাধিক ক্ষেত্রে এগিয়ে ছলেছে। শিক্ষা, প্রযুক্তি, উদ্ভাবনের মতো একাধিক দিকে ভারতের অগ্রগতি লক্ষণীয়। এক সময় মহাকাশ গবেষণার কথা উঠলে প্রথমে মনে আসত মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ‘নাসা’র নাম। কিন্তু চিন, রাশিয়ার মতো দেশের কথাও উঠে আসতে পারে। ভারতের নিজস্ব মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ISRO কাজ শুরু করেছিল অনেক পরে। সেই স্যার এপিজে আবদুল কালামের হাত ধরে শুরু হয়েছিল পথ চলা। সাইকেলের কেরিয়ারে চাপিয়ে নিয়ে যাওয়া হতো রকেটের যন্ত্রাংশ। সেই ইসরো এখন টেক্কা দিচ্ছে ‘নাসা’র মতো সংস্থাকে।

এপিজে আবদুল কালামের হাত ধরে শুরু হয়েছিল ইসরোর পথচলা

WhatsApp Community Join Now

সম্প্রতি ইসরো এক নতুন গবেষণার কাজ শুরু করতে চলেছে। গবেষণার কাজ চলবে লাদাখের লেহ-তে। মানুষ আগামী দিনে হয়তো পাড়ি দেবে অনন্ত মহাকাশে। চাঁদ কিংবা মঙ্গল গ্রহের বাইরেও ভাবতে শুরু করেছে ভারত। কিন্তু সেখানে বসবাস করা সম্ভব নয়। এমনকি গবেষণার কোনও কাজে রোবট পাঠানোও খুব কঠিন। সেখানকার পরিবেশ বুঝে, মানিয়ে নেওয়ার কৌশল রপ্ত করার পরেই নেওয়া যাবে পরবর্তী ব্যবস্থা।

গ্রহান্তরে যাওয়ার ভাবনা নিয়ে ‘হ্যাব ১’

গ্রহান্তরে যাওয়ার ভাবনা নিয়ে লাদাখে এই নতুন মিশন শুরু করছে ইসরো। বিশেষ মিশটির নাম দেওয়া হয়েছে অ্যানালগ স্পেস মিশন- ‘হ্যাব ওয়ান’। ভারতে এই ধরণের গবেষণার কাজ একেবারে নতুন। গ্রহান্তরের পরিবেশ সম্পরকে সম্যক ধারণা রপ্ত করার পর বেঁচে থাকার কৌশল অবলম্বন করার লক্ষ্য নিয়ে শুরু করা হচ্ছে অ্যানালগ স্পেস মিশন। বৈজ্ঞানিক উপায়ে লেহতে তৈরি করা হবে গ্রহান্তরের মতো পরিবেশ। মহাকাশের অচেনা পরিবেশে কেমন প্রতিকূলতা সামনে আসতে পারে, তাঁর পূর্বানুমান করে নিয়ে বিজ্ঞানীরা জানবেন সংগ্রাম করার উপায়।

সুবিধা হবে মহাকাশচারীদের

কৃত্রিমভাবে তৈরি করা পরিবেশে যাচাই করা হবে বিভিন্ন যন্ত্রাংশ ও রোবট। এই গবেষণা যে আগামী দিনে মহাকাশচারীদের অনেক কাজে লাগবে সেটা আর বলা অপেক্ষা রাখে না। গবেষণা যদি সফল হয়, তাহলে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ভারতের সম্মান বৃদ্ধি পাবে বেশ কয়েক গুণ।

সঙ্গে থাকুন ➥
X