4G, 5G অতীত, এবার এসে গেল 6G। এখনও অবধি ভারতে টেলিকম কোম্পানিগুলির 4G-র দাপট বজায় রয়েছে। আবার কিছু কিছু নেটওয়ার্ক যেমন Reliance Jio, Airtel দেশের কিছু অংশে 5G পরিষেবা অবধি শুরু করে দিয়েছে। যদিও 4G-র রমরমা কিন্তু এখনও অবধি শেষ হয়নি। তবে এসবের মাঝেই এবার বাজারে এসে গেল 6G। হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন।
জানা গিয়েছে, এবার বিশ্বের প্রথম 6G ডিভাইস লঞ্চ হল। এর ইন্টারনেট গতি দেখলে চোখ আপনারও ছানাবড়া হয়ে যেতে পারে বৈকি। এটি একটি প্রোটোটাইপ মেশিন। ইন্টারনেট স্পিড 100 Gbps। ইন্ডোর এবং আউটডোর, দুই জায়গাতেই এর টেস্টিং হয়েছে ইতিমধ্যে। এখন নিশ্চয়ই ভাবছেন যে কোন দেশ এমন অসাধ্য সাধন করেছে? তা জানতে চোখ রাখুন লেখাটির ওপর।
জানা গিয়েছে, এই অসাধ্য সাধন করে দেখিয়েছে জাপানের মতো উন্নত দেশ। জাপানের টেলিকম কোম্পানি ডকোমো, এনটিটি করপোরেশন, এনইসি করপোরেশন ও ফুজিৎসু যৌথভাবে বিশ্বের প্রথম 6G প্রোটোটাইপ ডিভাইস লঞ্চ করেছে। গত ১১ এপ্রিল প্রথমবারের মতো 6G নেটওয়ার্কের গতি সফলভাবে পরীক্ষা করেছে এই ডিভাইস। এক রিপোর্ট অনুযায়ী, জাপানের তৈরি এই প্রোটোটাইপ ডিভাইসটি ইনডোর এবং আউটডোর উভয় ক্ষেত্রেই পরীক্ষা করা হয়। ইনডোরে এই 6G ডিভাইসটি 100Gbps সুপারফাস্ট গতি অর্জন করেছে। একই সঙ্গে আউটডোরে 300 Gbps স্পিড ধরেছে। এই পরীক্ষাটি রিসিভার থেকে ৩২৮ ফুট অর্থাৎ ১০০ মিটার দূরত্বে পরীক্ষা করা হয়েছে। এটি একক ডিভাইসে পরীক্ষা করা হয়েছে। মাল্টি ডিভাইসে এর গতি কমে যেতে পারে।
যেমন 5G নেটওয়ার্কের সর্বোচ্চ গতি 10 Gbps পর্যন্ত হয়। তবে বাস্তবে এটি কেবল ২০০ থেকে ৪০০ এমবিপিএসের গতিতে ইন্টারনেট পরিষেবা প্রদান করে। 6G-র জন্য একটি উচ্চ ফ্রিকোয়েন্সির ব্যান্ড প্রয়োজন হবে, যার মানে ডিভাইসটি দ্রুত ডাউনলোড অর্জনের জন্য প্রয়োজনীয় ফ্রিকোয়েন্সি পেতে সক্ষম হবে না।
সিক্স-জি প্রযুক্তিতে ইন্টারনেটের গতি বেশি হওয়ায় রিয়েল-টাইম হলোগ্রাফিক যোগাযোগ সম্ভব হবে। এ ছাড়া ভার্চুয়াল ও মিক্সড রিয়েলিটির অভিজ্ঞতাও ভালো হবে। তবে ৬জি প্রযুক্তি বাণিজ্যিকভাবে আসতে আরও কয়েক বছর সময় লাগবে বলে দাবি করেছে DOCOMO, NTT, NEC এবং Fujitsu।