ফের একবার বড় চমক দিল মুকেশ আম্বানির রিলায়েন্স জিও। কেউ হয়তো ভাবতেও পারেননি যে এমনটা হবে। আপনিও কি জিও নেটওয়ার্কের গ্রাহক? আরও বেশি ডেটা ব্যবহার করতে চান? তাহলে আজকের এই প্রতিবেদনটি রইল শুধুমাত্র আপনার জন্য।
আরও হাইস্পিড ইন্টারনেট পাবেন
রিলায়েন্স জিও এবার এমন এক ব্যবস্থা করেছে যারপরে গ্রাহকরা আরও হাইস্পিড ইন্টারনেট পরিষেবা পেয়ে যাবেন। হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন। জানা গিয়েছে, জিও এয়ারফাইবার একটি FWA বা Fixed-Wireless Access সার্ভিস শুরু করল। আপাতত ৬৯৫৬টি শহর ও শহরে উপলব্ধ। এটি আপনাকে ১২০টি ডিভাইসকে কানেক্ট করতে এবং 30Mbps থেকে 1GBPS পর্যন্ত সংযোগ স্থাপনের অভিজ্ঞতা সরবরাহ করবে।
২০১৬ সালে টেলিকম সেক্টরে আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল মুকেশ আম্বানির সংস্থা রিলায়েন্স জিও। যত সময় এগোচ্ছে সংস্থাটি ততই নিজেদের গ্রাহকদের জন্য নিত্যনতুন পরিষেবা এনে চমকে দিচ্ছে। উৎসবের মরশুমে সংস্থার ফিক্সড ওয়্যারলেস অ্যাকসেস (এফডব্লিউএ) ডিভাইস জিও এয়ারফাইবার লঞ্চ হতে পারে। অন্যান্য কোম্পানির তুলনায় এর দাম ২০ শতাংশ কম হতে পারে। এমনই জানিয়েছেন শিল্প বিশেষজ্ঞ ও নির্বাহীরা। আগামী ২৯ আগস্ট রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে, যেখানে কোম্পানির চেয়ারম্যান মুকেশ আম্বানি এ বিষয়ে ঘোষণা করতে পারেন।
বড় প্ল্যান Jio-র
এটা তো সকলেই জানেন যে রিলায়েন্স জিও দেশের বৃহত্তম টেলিকম সংস্থা। যে শহরগুলিতে 5G পরিষেবা শুরু হয়েছে, সেখানে কনজিউমার ট্রায়াল শুরু করেছে জিও। লঞ্চের আগে যাতে পুরোপুরি পরীক্ষা করা যায় সেজন্য বাছাই করা ব্যবহারকারীদের ডিভাইসও দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। জিওর এফডব্লিউএ ডিভাইস ক্যারিয়ার এগ্রিগেশন প্রযুক্তি ব্যবহার করবে যা বিভিন্ন 5G এয়ারওয়েজ ব্যবহার করে ডেটা পাথওয়ে তৈরি করবে। গত বছর ৭০০ মেগাহার্টজ, ৩৩০০ মেগাহার্টজ এবং ২৬ গিগাহার্টজে স্পেকট্রাম কিনেছিল জিও।এই মাসের শুরুতে ভারতী এয়ারটেল মুম্বাই এবং দিল্লিতে তার এফডব্লিউএ এক্সস্ট্রিম এয়ারফাইবার চালু করেছে। ডিভাইসটির দাম ২৫০০ টাকা। এর সাবস্ক্রিপশন প্রতি মাসে ৭৯৯ টাকা। এয়ারটেল বর্তমানে ছয় মাসের সাবস্ক্রিপশন দিচ্ছে।
একজন বিশ্লেষক জানিয়েছেন, এয়ারটেল এরই মধ্যে তাদের ডিভাইস চালু করেছে। এমন পরিস্থিতিতে জিও ছাড় দিতে পারে বা কিছু সময়ের জন্য বিনামূল্যে ট্রায়াল দিতে পারে। রিলায়েন্সের শেষ বার্ষিক সাধারণ সভায় প্রথমবার এফডব্লিউএ অফার নিয়ে কথা বলেছিল সংস্থাটি। ২০২২ সালে বিশ্বে ১০০ মিলিয়ন এফডব্লিউএ ছিল। ২০২৮ সালের শেষ নাগাদ তা ৩০ কোটিতে পৌঁছাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এর মধ্যে ৮০ শতাংশ ফাইভজি প্রযুক্তি ব্যবহার করবে। দেশে যে ধরনের ডেটা ব্যবহার করা হচ্ছে তা বাড়ছে। এমন পরিস্থিতিতে দেশে এফডব্লিউএ’র ব্যবহার বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।