Indiahood-nabobarsho

নজর রাখা হবে সীমান্ত, গ্রহ, পরিবেশের ওপর! NASA, ISRO-র তৈরী স্যাটেলাইট তৈরী লঞ্চের জন্য

Published on:

project nisar

শ্বেতা মিত্র, কলকাতাঃ অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে বড়সড় ঘোষণা করল Nasa ও Isro। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে নতুন বছর অর্থাৎ ২০২৫ সালে নাসা ও ইসরোর যৌথ উদ্যোগে লঞ্চ হবে ‘মিশন NISAR।’ হ্যাঁ ঠিক শুনেছেন। পরিবেশের পাশাপাশি সীমান্ত নিরাপত্তার জন্যও এই স্যাটেলাইট গুরুত্বপূর্ণ হবে। হাই-রেজোলিউশনের ছবিগুলি হিমালয়ের হিমবাহগুলি পর্যবেক্ষণ করতে সহায়তা করবে, যেখানে বিশ্ব উষ্ণায়নের কারণে হিমবাহগুলি দ্রুত গলে যাচ্ছে। আরও বিষশদে জানতে চোখ রাখুন আজকের এই প্রতিবেদনটির ওপর।

গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়তে জয়েন করুন Join Now

কবে লঞ্চ হবে নিসার? Project NISAR Launch Date |

মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা এবং ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (ইসরো) ২০২৫ সালের মার্চ মাসে নাসা-ইসরো সিন্থেটিক অ্যাপারচার রাডার (নিসার) উপগ্রহ উৎক্ষেপণ করতে প্রস্তুত। এই মিশনের আনুমানিক খরচ প্রায় ৫,০০০ কোটি টাকা। এখন নিশ্চয়ই ভাবছেন যে মিশনের লক্ষ্য কী? এই বিষয়ে দুই মহাকাশ গবেষণা সংস্থা জানিয়েছে, এই মিশনটির লক্ষ্য বিশ্বব্যাপী পৃথিবী পর্যবেক্ষণকে রূপান্তর করা এবং আন্তর্জাতিক মহাকাশ সহযোগিতায় একটি মাইলফলক চিহ্নিত করা।

গ্রহের পরিবর্তন লক্ষ্য করবে Nisar

২০০৯ সালে তৈরি ২.৮ টন ওজনের নিসার স্যাটেলাইটটি অতুলনীয় নির্ভুলতার সঙ্গে গ্রহের পরিবর্তনগুলি পর্যবেক্ষণ করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। এটি প্রতি ১২ দিনে দুবার পৃথিবীর প্রায় সমস্ত ভূমি এবং বরফের আস্তরণগুলি স্ক্যান করবে। এর পাশাপাশি বাস্তুতন্ত্র, ভূমি গতিবিদ্যা এবং বরফের গঠন সম্পর্কে জটিল বিবরণ ক্যাপচার করবে।

বাছায় করা খবর নিজের মোবাইলে পেতে Join Now

নিসার এক ধরনের পর্যবেক্ষণ স্যাটেলাইট, অর্থাৎ নজরদারির জন্য এই স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করা হবে। নিসার মিশনের মূল উদ্দেশ্য হল পরিবেশগত পরিবর্তন এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগ পর্যবেক্ষণ করা। এর পর্যবেক্ষণ এতটাই কার্যকর হবে যে এই স্যাটেলাইট তার উন্নত রাডার ইমেজিং কৌশলের মাধ্যমে পৃথিবীর বাস্তুতন্ত্রের পরিবর্তন, বরফ গলে যাওয়া এবং ভূমিকম্প, সুনামির মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগও পর্যবেক্ষণ করবে। সবথেকে বড় কথা, এই মিশনটি পৃথিবীতে জীবনের উন্নতি এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগের প্রভাব হ্রাস করার জন্যও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণিত হতে পারে।

নাসা-ইসরোর মধ্যে বড় চুক্তি

নিসার স্যাটেলাইটটি ৩ থেকে ৫ বছর কাজ করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। এই উচ্চাভিলাষী প্রকল্পটি বিকাশের জন্য ২০১৪ সালে ইসরো (ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশন) এবং নাসা (ন্যাশনাল অ্যারোনটিক্স অ্যান্ড স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন) এর মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। উপগ্রহটি দুটি পৃথক রাডার দিয়ে সজ্জিত, যার মধ্যে একটি ইসরো দ্বারা নির্মিত এস-ব্যান্ড রাডার এবং অন্যটি এল-ব্যান্ড রাডার, যা নাসার তৈরি।

গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্যJoin Group
চাকরির খবরের জন্যJoin Hood Jobs
রাশিফলের জন্যJoin Hood Rashifal
খেলার খবরের জন্যJoin Whatsapp
সঙ্গে থাকুন ➥
Join Group