নয়া দিল্লিঃ আজকাল মোবাইল আমাদের জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে। যেকোনও কাজ এখন মোবাইল থেকে করা যায়। যদিও আগে শুধুমাত্র টেলিফোনের ‘রিপ্লেসমেন্ট’ হিসেবে বাজারে আনা হয়েছিল মোবাইল। তখন শুধুমাত্র কলিং ও ম্যাসেজিং ফিচার্স পাওয়া যেত মোবাইলে। তবে আজকাল এসবের পাশাপাশি ইন্টারনেট ব্যাবহার করার অন্যতম প্রধান ডিভাইস হয়ে দাঁড়িয়েছে এই মোবাইল। আর সেই কারণেই আজকাল মোবাইল রিচার্জ না করা থাকলেও ইন্টারনেটের মাধ্যমে অনলাইন কলিং ও ভিডিও কলিংয়ের সুবিধা পাওয়া যায় বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে।
বর্তমানে মোবাইলে থাকা সিম কার্ডে রিচার্জ না করা থাকলেও হোয়াটসঅ্যাপ, টেলিগ্রাম, ম্যাসেঞ্জার ইত্যাদি অ্যাপে বিনামূল্যে ইন্টারনেট কলিং ও ভিডিও কলিংয়ের সুবিধা পাওয়া যায়। এর জন্য মোবাইলটিকে শুধুমাত্র ওয়াইফাই নেটওয়ার্কের সঙ্গে সংযুক্ত রাখতে হবে। এছাড়াও ছোটখাটো ডেটা প্যাক রিচার্জ করেও এই সুবিধা পাওয়া যায়। আর এইসব অ্যাপ যখন গ্রাহকদের এই সুবিধা দিচ্ছে, তখন ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে Jio, Airtel-এর মতো টেলিকম সংস্থাগুলিকে।
বিনামূল্যে কলিং ও ভিডিও কলিংয়ের কারণে ক্ষতি
সম্প্রতি, ভারতের দ্বিতীয় বৃহত্তম টেলিকম সংস্থা Airtel একটি অভিযোগ সামনে এনেছে, যেখানে তারা হোয়াটসঅ্যাপ, টেলিগ্রাম, ম্যাসেঞ্জার ইত্যাদি অ্যাপে বিনামূল্যে ইন্টারনেট কলিং ও ভিডিও কলিংয়ের বিরুদ্ধে বিভিন্নরকম অভিযোগ সামনে এনেছে। সংস্থার দাবি, এইসব অ্যাপের কারণে যেমন ক্ষতির মুখোমুখি হচ্ছে টেলিকম সংস্থাগুলি, তেমনভাবেই সরকারের কোষাগারে ট্যাক্সের টাকাতেও ঘাটতি পড়ছে। এছাড়াও এইসব অ্যাপের লাইসেন্স না থাকার কারণে বিভিন্ন নাশকতামূলক কাজকর্ম করার জন্য এগুলিকে ব্যবহার করা হচ্ছে। তাই সত্ত্বর এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে Airtel।
Whatsapp-এর জন্য নতুন আইন চালু হতে পারে
টেলিকম সংস্থাগুলির এই অভিযোগ সামনে আসার পর থেকেই এইসব অ্যাপগুলিকে নতুন আইনের আওতায় আনার দাবি জোরালো হচ্ছে। শোনা যাচ্ছে, এই তোড়জোড় শুরুও করে দিয়েছে সরকার। অর্থাৎ, এই ধরণের অ্যাপগুলিকে লাইসেন্সের আওতায় আনা হতে পারে। এরই মাঝে Jio অভিযোগ করেছে যে যেহেতু এই সমস্ত অ্যাপগুলি কলিং ও ম্যাসেজিং পরিষেবা দেয়, টকি তাদের নির্দিষ্ট লাইসেন্স থাকা উচিত। যদিও সরকার কোন মাসে এই নতুন নিয়ম চালু করবে, তা এখনো জানা যায়নি।