প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: বর্তমানে আধার কার্ড এবং প্যান কার্ডের (Pan Card) গুরুত্ব যে ঠিক কতখানি তা আর বলার অপেক্ষা রাখেনা। সরকারি ক্ষেত্র থেকে শুরু করে ব্যাঙ্কিং ক্ষেত্রে যেকোনও কাজের জন্য গুরুত্বপূর্ণ আধার এবং প্যান কার্ডের তথ্য। এছাড়া প্যান কার্ডের মাধ্যমে প্রতিটি করদাতাদের সমস্তরকম আর্থিক লেনদেন নথিবদ্ধ করা হয়ে থাকে। অর্থাৎ ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে করা থেকে সমস্ত আর্থিক লেনদেন ট্রাক করা যায় এই ছোট্ট চারকোনা কার্ডের মাধ্যমে৷ এবার আপনিও বাড়িতে বসে মাত্র ১০ মিনিটে বিনামূল্যে প্যান কার্ড তৈরি করে নিতে পারবেন।
বাড়িতেই বানিয়ে নিন প্যান কার্ড
সাধারণত, ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে আবেদন করলে প্যান কার্ড পেতে দীর্ঘদিন সময় লাগে। কখনও আবার দেখা যাচ্ছে প্রসেসিং এর সময় কোনো কারণে প্যান কার্ডের আবেদন ক্যানসেল বা বাতিল করে দেয়। তবে এখন সেই সমস্যা সম্পূর্ণ দূর হবে। কারণ এখন আপনি নিজেই বাড়িতে বসে সঠিক তথ্য দিয়ে আয়কর বিভাগের ই-ফাইলিং পোর্টাল থেকে মাত্র ১০ মিনিটেই ই-প্যান কার্ড বানিয়ে নিতে পারবেন। তাও আবার আধার কার্ডের মাধ্যমে। কীভাবে? চলুন আজকের প্রতিবেদনের মাধ্যমে সম্পূর্ণটা জেনে নেওয়া যাক বিস্তারিত।
কী এই ই-প্যান কার্ড?
সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে ই-প্যান কার্ড আসলে প্যান কার্ডের মতোই। আয়কর বিভাগে ই-ফাইলিং পোর্টালে আধারের মাধ্যমে অনলাইনে তৈরি করা যায় গ্রাহকদের এই ই-প্যান কার্ড। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল আয়কর বিভাগ সরাসরি জারি করায় এই ই-প্যান কার্ডটি সম্পূর্ণ বৈধ। অর্থাৎ কোনও দ্বিধা ছাড়াই এই প্যান কার্ডটি সরকারি এবং বেসরকারি উভয় কাজের জন্য ব্যবহার করতে পারবেন। আর এই কার্ড বানাতেও খরচ করতে হবে না এক টাকাও। এটি আপনার ডিভাইসে পিডিএফ ফর্ম্যাটে থাকে। যদি কখনও এটির হার্ড কপির প্রয়োজন হয়, তাহলে NSDL এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে মাত্র ৫০ টাকা দিয়ে ই-প্যান কার্ডের প্রিন্ট-আউট করে নিতে পারবেন।
আরও পড়ুন: একসঙ্গে হবে BSNL-Vi? বড় চমক আসতে চলেছে টেলিকম দুনিয়ায়
কীভাবে বানাবেন ই-প্যান কার্ড?
- প্রথমে, আয়কর বিভাগের অফিসিয়াল ই-ফাইলিং পোর্টালে গিয়ে ‘কুইক লিঙ্ক’ বিভাগে ‘ইনস্ট্যান্ট প্যান’ অপশনে ক্লিক করে নিতে হবে।
- সেখানে একটি নতুন উইন্ডো খুলবে। এখানে আবেদনকারীর আধার নম্বর এবং ‘আমি সম্মত’ টিক দিন এবং ‘ভ্যালিডেট’ এ ক্লিক করে নিতে হবে।
- এরপর আবেদনকারীর আধার কার্ডের সম্পূর্ণ বিবরণ স্ক্রিনে প্রদর্শিত হওয়ার পর সমস্ত তথ্য ভালো করে ভেরিফাই করে নিন এবং ‘OK’ এ ক্লিক করুন।
- অবশেষে, ‘Submit’ এ ক্লিক করে নিতে হবে, তারপরে ১০ মিনিটের মধ্যে তৈরি হয়ে যাবে আবেদনকারীর ই-প্যান কার্ড। পরে একটি ‘স্বীকৃতি নম্বর’ পাবেন, যা ভবিষ্যতের জন্য নিরাপদে রেখে দিতে হবে।
- এই ই-প্যান কার্ডটি ডাউনলোড করার ক্ষেত্রে আয়কর বিভাগের অফিসিয়াল ই-ফাইলিং পোর্টালে গিয়ে ‘কুইক লিঙ্ক’ বিভাগে ‘ই-প্যান ডাউনলোড করুন’ এ ক্লিক করে নিতে হবে। স্বীকৃত নম্বরটি লিখে সাবমিট করলেই ই-প্যান কার্ডটি পিডিএফ ফর্ম্যাটে ডাউনলোড হয়ে যাবে ডিভাইসে।
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join Hood Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join Hood Rashifal |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |