সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: মাস্কের স্টারলিংক (Starlink) অবশেষে ভারতীয় আকাশে ছায়া ফেলতে চলেছে। হ্যাঁ, দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে ভারতের মহাকাশ নিয়ন্ত্রক সংস্থা স্টারলিংককে সবুজ সংকেত দিয়েছে। খুব শীঘ্রই এবার দেশে তাদের পরিষেবা চালু হতে চলেছে স্টারলিংক। সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, এটাই ছিল সবথেকে বড় প্রশাসনিক বাঁধা, যা এখন সম্পূর্ণ খুলে গিয়েছে।
কীভাবে খুলল স্টারলিংকের পথ?
প্রসঙ্গত জানিয়ে রাখি, 2022 সাল থেকে স্টারলিংক ভারতে আসার জন্য লাইসেন্সের অনুমোদন চেয়েছিল। তবে গত মাসে তারা টেলিকম মন্ত্রকের কাছ থেকে ছাড়পত্র পায়। কিন্তু মহাকাশ দপ্তরের ছাড়পত্র না থাকার কারণে চূড়ান্ত অনুমোদন আটকে ছিল। আর এবার সেই রাস্তা খুলে গেল। যদিও এই মুহূর্তে স্টারলিংক বা ভারতের মহাকাশ দপ্তর এ নিয়ে কোনোরকম বিবৃতি জারি করেনি।
তবে বলে দিই, এখনো পর্যন্ত ভারতে যে সমস্ত কোম্পানি স্যাটেলাইট পরিষেবা চালুর ছাড়পত্র পেয়েছে, তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল—OneWeb এবং Jio Satellite Communications। আর এখন স্টারলিংক হবে তৃতীয় কোম্পানি, যারা ভারতে স্যাটেলাইট-ভিত্তিক ইন্টারনেট পরিষেবা চালু করবে।
তবে স্টারলিংকের হাতে এখনো কিছু কাজ রয়েছে। প্রথমত, সরকারের কাছ থেকে স্পেকট্রাম বরাদ্দ নিতে হবে। দ্বিতীয়ত, গ্রাউন্ড ইনফ্রাস্ট্রাকচার তৈরি করতে হবে। এছাড়া নিরাপত্তা সংক্রান্ত নিয়মকানুন মানার প্রমাণ হিসেবে একাধিক পরীক্ষা এবং ট্রায়াল চালাতে হবে।
আরও পড়ুনঃ ৪১০,০০০,০০,০০,০০০ টাকা ক্ষতির মুখে ভারত!
মাস্ক বনাম আম্বানি, ভারতের পাশে কে দাঁড়াচ্ছে?
তবে এই স্টারলিংক পরিষেবা চালুর পদ্ধতি নিয়ে আগেভাগেই এলন মাস্ক এবং মুকেশ আম্বানির জিও’র মধ্যে বিতর্ক চলছিল, স্পেকট্রামকে নিলামের মাধ্যমে দেওয়া হবে, নাকি সরাসরি সরকার বরাদ্দ করবে। তবে এই বিতর্কের অবসান ঘটিয়ে ভারত সরকার মাস্কের পাশে দাঁড়িয়েছে। স্পেকট্রাম এখন সরাসরি বরাদ্দ হবে, নিলামের কোনোরকম সম্ভাবনা নেই।
বলে দিই, দেশে স্টারলিংকের আগমন মানেই নয়া দিগন্ত। বিশেষত পাহাড়ি বা প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে যেখানে ইন্টারনেট পৌঁছয়নি, এখানে উচ্চগতির ইন্টারনেট পৌঁছে যাবে। পাশাপাশি ডিজিটাল ইন্ডিয়া মিশন আরো একধাপ এগিয়ে যাবে এবং ইন্টারনেট ব্যবহারের অভিজ্ঞতা নয়া মাত্র নেবে।
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join Hood Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join Hood Rashifal |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |