প্রীতি পোদ্দার: ভারতের অন্যতম বেসরকারী সংস্থা টাটা গ্রুপ চারিদিকে ছড়িয়ে পড়েছে। নুন থেকে শুরু করে সমস্ত সেক্টরে টাটা এখন সর্বেসর্বা। এবার ইলেক্ট্রিক পরিবহন মাধ্যমে নিজের জায়গা পাকা করতে ময়দানে নামল রতন টাটা। বর্তমানে ই-স্কুটারের মতো ই- সাইকেলের বাজার ধরতে টেক্কা দিতে আসরে টাটা গোষ্ঠী। রতন টাটার সংস্থা বাজারে আনল দুটি নতুন ই-বাইক মডেল, ভোল্টিক এক্স ও ভোল্টিক গো। পুজোর মরশুমে আবার ১৬ শতাংশ ছাড়ও দেওয়া হচ্ছে।
সাইকেলগুলির বৈশিষ্ট্য
এই সাইকেলগুলি মাত্র ৩ ঘণ্টার মধ্যেই ফুল চার্জ হয়ে যায়। এবং চার্জ সম্পূর্ণ হলেই টানা ৪০ কিমি রাস্তা খুব সহজেই ভ্রমণ করা যাবে এই ইলেকট্রিক সাইকেলের মাধ্যমে। দুই বছরের ওয়ারেন্টিও দেওয়া হবে ব্যাটারির উপরে। মাউন্টেন বাইক স্টাইলের ডিজাইন হওয়ায় শহরের রাস্তার পাশাপাশি ভাঙাচোরা রাস্তাতেও সাইকেল চালাতে কোনও অসুবিধা হবে না। পুরুষ, মহিলা এবং শিশু-কিশোরদের জন্য আলাদা করে ডিজাইন সহ এই সাইকেল বাজারে আনা হয়েছে। অফ-রোডিং অভিজ্ঞতা উপভোগ করার জন্য এই সাইকেলগুলি আপনি চাইলে কিনতেই পারেন।
আপাতত টাটা ইন্টারন্যাশনালের সহযোগী সংস্থা স্ট্রাইডার এইমুহুর্তে ভারতে ৪ হাজার আউটলেট খুলেছে এই সাইকেলের। এছাড়াও এই সংস্থা SAARC দেশগুলিতে সাইকেল রফতানি শুরু করেছে যেমন দক্ষিণ আফ্রিকা এবং মধ্য প্রাচ্য। সংস্থার তরফ থেকে জন্য গিয়েছে, পরিবেশকে দূষণমুক্ত রাখতে ভারতে দ্রুত হারে চাহিদা বাড়ছে এই সংস্থার ই-সাইকেলের বাজার। ইতিমধ্যেই ই-স্কুটার খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে দেশের মানুষদের কাছে। আর একইভাবে স্ট্রাইডার সংস্থাও ই-সাইকেলেরও ভবিষ্যৎ আরও বিস্তর করে তুলতে চাইছে।
কী বলছেন রাহুল গুপ্তা?
স্ট্রাইডারের বিজনেস হেড রাহুল গুপ্তালঞ্চের বিষয়ে জানিয়েছেন করেছেন, “যেই হারে পরিবেশে দূষণের মাত্রা বেড়ে চলেছে তা আমাদের ইকো সিস্টেমকে পুরোপুরি ধ্বংস করে দিচ্ছে। তাই আমাদের এর দায়িত্ব নিতে হবে। আমরা বিশ্বাস করি যে আমাদের এই নয়া প্রযুক্তি ই-বাইসাইকেল ভারতের শক্তি পরিবর্তনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। সরকারের অগ্রগতি-চিন্তামূলক উদ্যোগের সাথে আমাদের দেশ আরও টেকসই পরিবহন ইকোসিস্টেম তৈরি করবে।”
জানা গিয়েছে, টাটা ইন্টারন্যাশনাল সংস্থার সহযোগী সংস্থা স্ট্রাইডার সাইকেল তাদের বাইসাইকেলের মডেলের দাম শুরু করেছে ১৭ হাজার টাকা থেকে। তবে সদ্য লঞ্চ হওয়া এই ভোল্টাইক এক্স সাইকেলের দাম ৩২,৪৯৫ টাকা এবং ভোল্টাইক গো সাইকেলের দাম থাকবে ৩১,৪৯৫ টাকা।