সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: দিনের পর দিন ভারতের বাজারে বৈদ্যুতিক গাড়ির চাহিদা হু হু করে বাড়ছে। পেট্রোল-ডিজেলের ক্রমবর্ধমান দামের কারণে এখন বেশিরভাগ মানুষ বৈদ্যুতিক গাড়ির দিকে পা বাড়াচ্ছে। কারণ, এই যানবাহনগুলি পেট্রোল-ডিজেল তো সাশ্রয় করেই, পাশাপাশি পরিবেশ বান্ধবও বটে। তবে এর সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ হল চার্জিং (Electric Vehicle Charge)। কারণ, দেশের চার্জিং ষ্টেশন নেটওয়ার্ক এখনও সেরকম ভাবে শক্তিশালী নয়।
উল্লেখ্য, ইভি গাড়ি বা ইলেকট্রিক ভেহিকেলের চার্জিং স্টেশনগুলি সাধারণত দিল্লি, মুম্বাই, কলকাতা ইত্যাদি বড় বড় প্রধান শহরগুলোতে অবস্থিত। তাই মানুষকে প্রায়সই তাদের গাড়ি চার্জ করার জন্য ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করতে হয়। এমনকি দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়াতে হয়। তবে এই সমস্যার স্থায়ী সমাধান আসছে। সম্প্রতি ফ্রান্স একটি মোটরওয়ে চালু করেছে, যার মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয়ভাবেই বৈদ্যুতিক গাড়িতে চার্জ হবে। আর এটিই বিশ্বের প্রথম মোটরওয়ে। বিস্তারিত জানতে হলে চোখ রাখুন প্রতিবেদনটির উপর।
অটোমেটিক হবে গাড়িতে চার্জ
সম্প্রতি ফ্রান্স টেকসই পরিবহনের দিক থেকে ঐতিহাসিক পদক্ষেপের পথে হাঁটছে। প্রাপ্ত রিপোর্ট অনুযায়ী, তারা এক ডায়নামিক ওয়ারলেস চার্জিং সিস্টেম দিয়ে বিশ্বের প্রথম মোটরওয়ে চালু করেছে। আর এই সিস্টেমটি চলমান অবস্থাতেই গাড়িতে অটোমেটিক চার্জ করে দেবে। ফলত, সাধারণ মানুষকে তাদের গাড়ি নিয়ে চার্জ দেওয়ার জন্য থামতে হবে না। চলার সময় অটোমেটিকভাবেই হবে চার্জ।
বলাবাহুল্য, “চার্জ অ্যাজ ইউ ড্রাইভ” নামের এই প্রকল্পটি প্যারিস থেকে মোটামুটি 40 কিলোমিটার দক্ষিণ পশ্চিমে A10 মোটরওয়েতে চালু করা হয়েছে। আর এই প্রকল্পটি ভিঞ্চি অটোরুটস, ইলেকট্রিয়ন, ভিঞ্চি কনস্ট্রাকশন, গ্যাস্টের আইফেল বিশ্ববিদ্যালয় সহ বেশ কিছু কোম্পানির সহযোগিতায় শুরু করা। এই প্রকল্প একবার গোটা বিশ্বে বাস্তবায়িত হলে বৈদ্যুতিক যানবাহনের চার্জ নিয়ে যে চ্যালেঞ্জ, তার স্থায়ী সমাধান পাওয়া যেতে পারে। উল্লেখ্য, পরীক্ষার পর প্রকল্পটির বাস্তবায়ন বর্তমানে ট্রাফিক পর্যায়ে রয়েছে।
আরও পড়ুনঃ ১ নভেম্বর থেকে পেমেন্টে বসছে চার্জ! SBI গ্রাহকদের জন্য খারাপ খবর
উল্লেখ করার বিষয়, এই মোটরওয়ের প্রায় দেড় কিলোমিটার জুড়ে ভূগর্ভস্থ একটি কয়েল স্থাপন করা হয়েছে। আর সেখানে ভারি ট্র্যাক, একটি ইউটিলিটি গাড়ি, একটি যাত্রীবাহী গাড়ি এবং একটি বাসসহ প্রোটোটাইপ যানবাহনগুলি পরীক্ষার জন্য রাস্তায় চালানো হচ্ছে। প্রাথমিক পরীক্ষায় ফলও আশানুরূপ পাওয়া গিয়েছে। রিপোর্ট বলছে, গড়ে ইন্ডাক্টিভ সিস্টেমটি 200 কিলোওয়াটের বেশি শক্তি উৎপন্ন করতে পারছে। এমনকি স্ততিশীল পরিস্থিতিতে ৩০০ কিলোওয়াটের বেশি শক্তি সরবরাহ করছে। আর গোটা বিশ্বে একবার এই প্রযুক্তি বাস্তবায়িত হলে ইলেকট্রিক গাড়ির চার্জিং নিয়ে আর যে কোনও সমস্যা পোহাতে হবে না, তা বলা চলে।












