নয়া দিল্লিঃ যত সময় এগোচ্ছে ততই ভারতীয় টেলিকম সংস্থাগুলির ক্ষেত্রে নতুন নতুন নিয়ম বেঁধে দিচ্ছে TRAI। এবারও তার ব্যতিক্রম ঘটল না। কিন্তু এবার TRAI এমন এক সিদ্ধান্ত নিয়েছে যারপরে রেগে লাল হয়ে গেল দেশের কিছু বড় টেলিকম সংস্থাগুলি যেমন Realiance Jio, Airtel, Vi। হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন।
বড় সিদ্ধান্ত TRAI-র
সরকারি সংস্থা ট্রাই সময়ে সময়ে অনেক পরিবর্তন করে থাকে। কিছুদিন আগে তেমনই এক ধরনের পরিবর্তন আনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। ফেব্রুয়ারি মাসে একটি খবর প্রকাশ্যে এসেছিল যে এখন নম্বরের সঙ্গে ব্যবহারকারীদের নামও মোবাইলের স্ক্রিনে দেখা যাবে। তবে এ জন্য সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়নি। কিন্তু এখন এই বিষয়টি নিয়েই প্রকাশ্যে বড় খবর উঠে এল। যা শুনে দেশের বড় বড় টেলিকম সংস্থাগুলি ক্ষোভে ফুঁসতে শুরু করেছে। টেলিকম অপারেটররা জানিয়েছে, তারা এটি বাস্তবায়ন করতে পারবে। তবে এর জন্য তাদের অনেক ঝামেলার সম্মুখীন হতে হতে পারে। এখন যেহেতু 5G যুগ চলছে, সেক্ষেত্রে এই নতুন ব্যবস্থা 2G বা 3G নেটওয়ার্কে এই পরিষেবা দেওয়া সম্ভব নয়। তবে 4G, 5G ফোন ব্যবহারকারীদের জন্য এটি করা সহজ হবে। নতুন যে পরিষেবা দেওয়া হবে সেটার নাম হল CNAP। ২০২১ সালের পরে বাজারে আসা স্মার্টফোনগুলিতে কেবল CNAP ফিচার্স সাপোর্ট করবে। যদিও 4G, 5G ফোনে সিএনএপি সুবিধা চালু করতে অনেক সময় লাগতে পারে।
CNAP কী?
স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে যে এই CNAP কী? মূলত ভুয়ো কল থেকে কোটি কোটি মোবাইল ব্যবহারকারীকে স্বস্তি দিতে এই CNAP লাগু করতে চাইছে ট্রাই। ক্রমাগত আসা ভুয়ো ও বিপণন কল থেকে রেহাই পেতে টেলিকম কোম্পানিগুলোকে এই সাপ্লিমেন্টারি পরিষেবা আনতে ইচ্ছুক ট্রাই।
রেগে লাল Airtel, Vi, Jio
এদিকে ট্রাইয়ের এহেন উদ্যোগে রীতিমতো রেগে লাল হয়ে গিয়েছে Airtel, Vi, Jio । এই তিন সংস্থার ঊর্ধ্বতন আধিকারিকরা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছে, “বাস্তবতা না জেনেই ট্রাই শীঘ্রই সিএনএপি বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই সেবা সার্বজনীন সমাধান হতে পারে না। ফোনেও এই ফিচার কাজ করবে না। এছাড়াও, এটি বর্তমানে 4G এবং 5G নেটওয়ার্ক সমর্থন করতে চলেছে। এমন পরিস্থিতিতে ভারতে কোটি কোটি 2G ফোন বা নেটওয়ার্ক ব্যবহারকারী হতাশ হতে পারেন। সার্ভিস প্রোভাইডার হিসেবে আমাদের সব ব্যবহারকারীর দিকে একইভাবে নজর দিতে হবে।”