প্রীতি পোদ্দার: আজকের দিনে ইন্টারনেট ও মোবাইল পরিষেবা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। যে কোনো প্রয়োজনীয় কাজ এখন ইন্টারনেট ও মোবাইল ছাড়া সত্যিই করা যায় না। কিন্তু এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়কে ক্রাইম করার হাতিয়ার বানিয়ে ফেলেছে স্ক্যামাররা। ফেক কল বা ফেক ম্যাসেজের মাধ্যমে নানা প্রতারণামূলক কাজ করে চলেছে। ফলে নিমেষেই অ্যাকাউন্ট থেকে উধাও হয়ে যাচ্ছে লক্ষাধিক টাকা। তাই এই পরিস্থিতিকে নির্মূল করতে টেলিকম রেগুলেটরি অথরিটি অফ ইন্ডিয়া বা TRAI এক বড় পদক্ষেপ নিতে চলেছে।
TRAI-র নয়া বড় পদক্ষেপ!
আমরা প্রতিদিনই অনেক কল বা মেসেজ রিসিভ করে থাকি। সেগুলির মধ্যে অনেক মেসেজ বা ফোন কল থাকে ফেক। কিন্তু সেইগুলি আমরা সহজে ধরতে পারিনা। যার ফলে কিছু বুঝে ওঠার আগেই অনেক বড় ক্ষতি হয়ে যায়। সেই কারণে টেলিকম রেগুলেটরি অথরিটি অফ ইন্ডিয়া বা TRAI সকল টেলিকম অপারেটরকে “মেসেজ ট্রেসেবিলিটি” নামে নতুন একটি ফিচার চালু করার নির্দেশ দিয়েছে। যা কেবল ভুয়ো বার্তার উপর নজর রাখবে না, জালিয়াতি প্রতিরোধে সহায়তা করবে। আগামী ১ নভেম্বর ২০২৪ থেকেই শুরু হতে চলেছে এই পরিষেবা।
সূত্রের খবর, মেসেজের ট্রেসিবিলিটির মাধ্যমে মোবাইলে আসা সমস্ত মেসেজ খতিয়ে দেখা। এমনকি কলের ওপরেও নজর রাখা হবে। পাশাপাশি TRAI সমস্ত টেলিকম সংস্থাগুলিকে নির্দেশ দিয়েছে যে প্রচারমূলক, টেলমার্কেটিং এবং ব্যাঙ্কিং সম্পর্কিত মেসেজগুলি সনাক্তকরণ নিশ্চিত করতে হবে, যাতে গ্রাহকরা অযাচিত স্প্যাম কল এবং বার্তাগুলি থেকে মুক্তি পেতে পারে। এই নতুন নিয়মের উদ্দেশ্য হল গ্রাহকদের সুরক্ষা এবং সুবিধা প্রদান করা।
প্রতারণামূলক কল ও বার্তাগুলিকে লাল রঙে চিহ্নিতকরণ!
TRAI আরও নির্দেশ দিয়েছে যে, এবার থেকে টেলিমার্কেটিং মেসেজের জন্য একটি স্ট্যান্ডার্ড ফরম্যাট থাকবে, যাতে সহজে এদের সনাক্ত করা যায়। এবং প্রচারণামূলক কল ও বার্তাগুলিকে বিশেষভাবে লাল রঙে চিহ্নিত করা হবে। প্রতারণার সমস্যা প্রতিরোধে টেলিকম কোম্পানিগুলিকে প্রায় দুই মাস সময় দেওয়া হয়েছিল এই সিস্টেম কার্যকর করতে। তাই এবার থেকেJio, Airtel, Vi এবং BSNL সহ সমস্ত টেলিকম সংস্থার গ্রাহকরা নিশ্চিন্তে ফেক কল থেকে বিরত থাকবেন।