শ্বেতা মিত্র, কলকাতাঃ সাধারণ মানুষের জন্য স্বস্তির খবর। ট্রাইয়ের (Telecom Regulatory Authority of India) এই উদ্যোগে চাপে পড়তে পারে Airtel, Vodafone, BSNL, Jio-র মতো টেলিকম কোম্পানিগুলি। সাধারণ মানুষ যাতে কোনোভাবেই বিভ্রান্ত না হয়, সেজন্যই কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে TRAI।
কড়া পদক্ষেপ TRAI-র
বিগত কয়েক বছরে ভারতীয় মানচিত্রে টেলিকম অপারেটর কোম্পানিগুলোর মধ্যে প্রতিযোগিতা ব্যাপকভাবে বেড়েছে। জিও আসার পর প্রতিযোগিতার পরিমাণ ক্রমেই বৃদ্ধি পেয়েছে। 2G জমানার পর ক্রমে এসেছে 3G, 4G হয়ে এখন 5G। গ্রাহকদের আকৃষ্ট করার জন্য কোম্পানিগুলোর পক্ষ থেকে বিভিন্ন বিজ্ঞাপন প্রচার করা হয়। প্রায় সব সংস্থাই দাবি করা চলেছে যে তারাই সেরা! কিন্তু সত্যিকারের সেরা কোম্পানি কোনটা, কিংবা কোন বিজ্ঞাপনে দেওয়া হচ্ছে সত্যিকারের তথ্য?
কোন সিম কার্ড বা নেটওয়ার্ক ব্যবহার করা উচিৎ হবে সে ব্যাপারে সাধারণ মানুষের মধ্যে প্রশ্ন থাকে। সব জায়গায় সব কোম্পানির SIM সমানভাবে কাজ নাও করতে পারে। এই সমস্যা দূর করার জন্যই নেওয়া হয়েছে বড় ব্যবস্থা।
চাপ বাড়বে Jio, BSNL, Airtel, Vi -এর?
সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী, Jio, BSNL, Airtel, Vi টেলিকম সংস্থাগুলিকে বাধ্যতামূলকভাবে নেটওয়ার্ক মানচিত্র প্রকাশ করতে হবে। TRAI নির্দেশ দিয়েছে যে 2G, 3G, 4G, 5G সহ কোন পরিষেবাগুলি কোন এলাকায় পাওয়া যায় এবং কোথায় কভারেজ রয়েছে তার একটি মানচিত্র স্পষ্টভাবে প্রকাশ করতে হবে।
আরও পড়ুনঃ DA না বাড়লেও কপাল খুলতে চলেছে শিক্ষকদের, বড় সিদ্ধান্ত রাজ্য সরকারের
প্রতিটি টেলিকম কোম্পানিকে কোন অঞ্চল ও এলাকায় নেটওয়ার্ক আছে সে সম্পর্কে তথ্য দিতে হবে। এর মাধ্যমে ব্যবহারকারী তার এলাকায় কোন টেলিকম কোম্পানির সেবা পাওয়া যায় বা তিনি কোন এলাকায় অবস্থান করেন, কোন নেটওয়ার্কের গতি পাওয়া যায় সে সম্পর্কে স্পষ্ট তথ্য পাবেন। একটি নতুন সিম পোর্টিং বা ক্রয় করার সময়, ব্যবহারকারীর কাছে স্পষ্ট তথ্য থাকবে কোন নেটওয়ার্ক তার চাহিদা পূরণ করবে।
আরও পড়ুনঃ গঙ্গাসাগর মেলার কারণে রেলের আয় বাড়ল ১৩১%, একদিনেই শিয়ালদা লাইনে টাকা উঠল …
এরপর যদি কোনো কারণে উল্লেখিত জায়গায় দাবি মতো নেটওয়ার্ক বা পরিষেবা না পাওয়া যায়, তাহলে সেই দায় নিতে হবে টেলিকম অপারেটর কোম্পানিকেই। এখন সমস্ত টেলিকম সংস্থাগুলিকে তাদের নেটওয়ার্ক কোথায় পাওয়া যাবে, কোন নেটওয়ার্ক অর্থাৎ 4G, 5G এবং নেটওয়ার্ক গতি সম্পর্কে তথ্য সরবরাহ করতে হবে। এবং এই সমস্ত তথ্য হতে হবে একেবারে সঠিক। ট্রাইয়ের এই সিদ্ধান্ত সাধারণ মানুষের জন্য নিঃসন্দেহে কাজে লাগবে। অন্য দিকে পরীক্ষার মুখে পড়তে পারে কোম্পানিগুলো।