দশকের সবথেকে উষ্ণতম সংক্রান্তি, শীত-গরমের খেলা আর কদিন? জানাল আবহাওয়া দফতর

Published on:

weather

প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে রাজ্য জুড়ে কনকনে ঠান্ডার রেশ বেড়েছিল। কিন্তু সেই পরিস্থিতি ছিল সাময়িক। কারণ পৌষের শেষ কয়েকটা দিন পশ্চিমী ঝঞ্ঝার প্রভাবে ফের তাপমাত্রা ধীরে ধীরে বাড়ছে। এমনকি মকর সংক্রান্তিতেও দেখা নেই শীতের। ফিকে হয়েছে শীত। হাওয়া অফিস সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী পাঁচদিন আবহাওয়ার বিশেষ বদল ঘটবে না। যদিও দক্ষিণবঙ্গের মানুষ এখনও কিছুটা শীতের আমেজ উপভোগ করছেন।

দক্ষিণবঙ্গে আজকের আবহাওয়া

ফের নতুন করে পশ্চিমি ঝঞ্ঝা ঢুকেছে উত্তর-পশ্চিম ভারতে। এর ফলে উত্তুরে হাওয়া ফের বাধাপ্রাপ্ত হয়েছে। এবং পূবালী হাওয়ার দাপট বেড়েছে। তাই তাপমাত্রা খানিক বেড়েছে। গতকালের তুলনায় আজ অর্থাৎ মঙ্গলবার দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২ ডিগ্রি বেড়েছে। গতকাল কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৪.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সেই তুলনায় আজ, কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা দাঁড়িয়েছে ১৬.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের চেয়ে ২.৮ ডিগ্রি বেশি। সেক্ষেত্রে গত ১২ বছরের মধ্যে আজই হল রাজ্যের তৃতীয় উষ্ণতম সংক্রান্তি ।

হাওয়া অফিসের তরফে জানা গিয়েছে আগামী ১৮ জানুয়ারির আগে রাজ্যে কোথাও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বিশেষ কমার কোনও সম্ভাবনা নেই। আপাতত বঙ্গের সর্বত্র আবহাওয়া শুষ্কই থাকবে। কোথাও বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই। তার উপর ঘন কুয়াশার সতর্কতা রয়েছে দক্ষিণবঙ্গের মুর্শিদাবাদ, বীরভূম, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, নদিয়া ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায়।

উত্তরবঙ্গে আজকের আবহাওয়া

উত্তরবঙ্গের পার্বত্য অঞ্চলের গুলিতে হালকা বৃষ্টি ও তুষারপাতের পূর্বাভাস রয়েছে। মূলত পশ্চিমী ঝঞ্ঝার কারণে আজ দার্জিলিং-সহ পার্বত্য অঞ্চলের উঁচু জায়গাগুলিতে তুষারপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। সেই সঙ্গে হালকা বৃষ্টির পূর্বভাসও দিয়েছে হাওয়া অফিস। তবে বাকি জেলাগুলিতে অর্থাৎ জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর এবং মালদায় শুষ্ক আবহাওয়া বিরাজ করবে।

দক্ষিণবঙ্গের মত উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে আজ ঘন কুয়াশার সতর্কতা জারি করেছে আলিপুর। দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার এবং উত্তর দিনাজপুরে ঘন কুয়াশার জেরে সেখানে হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। পাশাপাশি দক্ষিণ দিনাজপুর, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার এবং মালদহ জেলায় হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা থাকবে। ঘন কুয়াশার দাপট এতটাই বেশি থাকবে যে দৃশ্যমানতা ২০০ মিটারের নীচে চলে যাবে। সেক্ষেত্রে কোথাও কোথাও দৃশ্যমানতা আবার ৫০ মিটারের কাছাকাছি নেমে যেতে পারে।

সঙ্গে থাকুন ➥