‘ডানা’-র দাপটে বন্ধ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সরকারি কর্মীদের ছুটি বাতিলের ঘোষণা রাজ্যের

Published on:

odisha govt

প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: সময় যত এগোচ্ছে আবহাওয়ার অবনতি যেন দ্রুত গতিতে শুরু হয়েছে। খুব শীঘ্রই বাংলা-ওডিশার উপকূলবর্তী এলাকায় আছড়ে পড়তে চলেছে ঘূর্ণিঝড় ‘ডানা। বৃহস্পতিবারই এই নিম্নচাপ গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়ে ঘূর্ণিঝড় তৈরি হতে পারে। স্মৃতি উসকে দেবে আয়লা এবং আমফানের। আর এই আবহে দুর্যোগ পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য বড় পদক্ষেপ নিল ওড়িশা সরকার।

পর্যটকদের পুরী ছাড়ার নির্দেশ প্রশাসনের!

WhatsApp Community Join Now

এই ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয় মোকাবিলায় কোনও খামতি রাখতে চাইছে না ওড়িশা সরকার। ১০০ শতাংশ মানুষকে নিরাপদে সরানোর টার্গেট নিয়েছে সরকার। পাশাপাশি সমস্ত সরকারি কর্মীদের ছুটিও বাতিল করেছে প্রশাসন। এমনকি ওড়িশায় ঘুরতে আসা পর্যটক ও পুণ্যার্থীদের আজ এবং আগামীকালের মধ্যেই পুরী ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগামী বৃহস্পতি ও শুক্রবার কোনও পর্যটককে পুরী ভ্রমণে না আসার পরামর্শ দিয়েছে সে রাজ্যের সরকার। আর এই আবহে আগামীকাল অর্থাৎ বুধবার রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর ওড়িশা যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ডানার আশঙ্কায় সেই সফর বাতিল করা হয়েছে।

প্রাকৃতিক দূর্যোগে বাতিল স্কুল

এছাড়াও ওড়িশাতেও গঞ্জাম, পুরী, জগৎসিংহপুর, কেন্দাপাড়া, ভদ্রক, বালেশ্বর, ময়ূরভঞ্জ, কেওনঝড়, ঢেঙ্কানল, জজপুর, আঙ্গুল, খুরদা, নয়াগড় এবং কটকে দুর্যোগের শঙ্কা রয়েছে। তাই আগাম সতর্কতা হিসাবে আগামীকাল থেকে শুক্রবার পর্যন্ত ওড়িশার ১৪ জেলায় সব স্কুল বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন। সেই জেলাগুলো হল গঞ্জাম, পুরী, জগৎসিংহপুর, কেন্দাপাড়া, ভদ্রক, বালেশ্বর, ময়ূরভঞ্জ, কেওনঝড়, ঢেঙ্কানল, জজপুর, আঙ্গুল, খুরদা, নয়াগড় এবং কটক। এছাড়াও পশ্চিমবঙ্গের সরকারও এই ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলা করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে।

দক্ষিণবঙ্গের দুই উপকূলবর্তী জেলা পূর্ব মেদিনীপুর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় পরিস্থিতি মোকাবিলায় আগাম সতর্কতা নিয়েছে প্রশাসন। দক্ষিণ ২৪ পরগনার নামখানা, সাগরদ্বীপ, পাথরপ্রতিমা, বকখালি-সহ বিভিন্ন উপকূলবর্তী অঞ্চলে প্রশাসনের তরফে মাইকিং করা শুরু হয়েছে। কাকদ্বীপ অঞ্চলে ইতিমধ্যেই একটি কন্ট্রোল রুম চালু করা হয়েছে। অন্যদিকে পূর্ব মেদিনীপুরের দিঘা, মন্দারমণি, তাজপুর সমুদ্রসৈকতের দিকেও নজর রাখছে প্রশাসন। এছাড়াও কৃষকদের জন্য একটি নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে যেখানে বলা হয়েছে ধানের ৮০ শতাংশ দানা পেকে গেলে ফসল দ্রুত কেটে ফেলতে হবে। পেঁপে, কলা, বিভিন্ন সব্জি, পানের বরজ এবং ডাল শস্যের জমিগুলিতে নিকাশি ব্যবস্থা ঠিক করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুনঃ সাগরদ্বীপ থেকে ৭৭০ কিমি দূরে, কালই ভয়ঙ্কর রূপ নেবে ঘূর্ণিঝড় ডানা! আছড়ে পড়বে কোথায়?

অন্যদিকে দুর্যোগপূর্ণ পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য বঙ্গে NDRF এর ১৪টি দল এবং ওডিশার জন্য ১১টি দলকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়াও সেনা, নৌসেনা এবং উপকূলরক্ষা বাহিনীও মোতায়েন করা হয়েছে। ওডিশার উপকূলবর্তী জেলাগুলির সঙ্গে এই প্রসঙ্গে ক্রমাগত যোগাযোগ রাখছেন মুখ্যমন্ত্রী মোহন চরণ মাঝি। কোনও পরিষেবা ব্যাহত হলে তা দ্রুত স্বাভাবিক করা নির্দেশও দিয়েছেন তিনি।

সঙ্গে থাকুন ➥