প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: চলতি বছর গত মে মাসে আছড়ে পড়েছিল ঘূর্ণিঝড় (Cyclone) রেমাল। ঘণ্টায় ১৩০ কিমি বেগে শক্তি বৃদ্ধি করে লণ্ডভণ্ড করে দিয়েছিল দক্ষিণ ২৪ পরগনার সুন্দরবন ও বাংলাদেশের বিস্তীর্ণ এলাকা। যার প্রভাব কলকাতা ও শহরতলি এলাকায় অতিভারী বৃষ্টিতে ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। আর সেই রেশ কাটতে না কাটতেই ফের আলোর উৎসবের আগে ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা দেখা দিল বঙ্গে।
ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা বঙ্গে!
হাওয়া অফিস সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী রবিবার দক্ষিণ আন্দামান সাগরে ঘূর্ণাবর্ত তৈরীর সম্ভাবনা রয়েছে। আর সেই ঘূর্নাবর্ত মধ্য বঙ্গোপসাগরে আগামী মঙ্গলবার নিম্নচাপে পরিণত হবে। এবং নিম্নচাপের অভিমুখ থাকবে উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে। ওড়িশা ও অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূল বরাবর এর অভিমুখ থাকবে। আর এই ঘূর্ণাবর্তের বড় প্রভাব পড়বে বাংলায়। আগামী বুধবার থেকে কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে ফের বৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। যা চলবে আগামী সপ্তাহের শুক্রবার পর্যন্ত।
ডানার (Cyclone Dana) দাপটে কতটা ক্ষতিগ্রস্ত হবে বাংলা?
এছাড়াও এই নিম্নচাপ গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়ে ঘূর্ণিঝড়ের আকার ধারণ করবে। আর এই ঘূর্ণিঝড়টি তৈরি হলে এর নাম রাখা হবে ‘ডানা’ (Cyclone Dana)। কাতার এই ঘূর্ণিঝড়ের নাম দিয়েছে। আন্তজার্তিক আবহাওয়ার মডেলগুলির তথ্য অনুযায়ী জন গিয়েছে বঙ্গোপসাগরে অক্টোবরের শেষে এই ঘূর্ণিঝড় তৈরির লক্ষণ স্পষ্ট। এছাড়াও ‘ডানা’ তৈরি হলে ওড়িশা থেকে বাংলাদেশের খুলনার মধ্যে আছড়ে পড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। ফলে সমুদ্র উত্তাল থাকবে। মৎস্যজীবীদের মঙ্গল থেকে বুধ পর্যন্ত সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। সমুদ্রে প্রায় ৫৫ কিলোমিটার গতিবেগে ঝড় বইবে।
আরও পড়ুনঃ ১৪০ কিমি বেগ, আগামী সপ্তাহে বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা! দক্ষিণবঙ্গে একটানা বৃষ্টি
যদিও এখনও ঘূর্ণিঝড়ের গতিপথ ও ক্ষমতা নিয়ে তেমন কোনো তথ্য প্রকাশ্যে আসেনি। তবে পশ্চিমবঙ্গ বা ওডিশার দিকে যদি এই ঝড় আঘাত হানে তাহলে পশ্চিমবঙ্গের উপকূলের জেলাগুলিসহ দক্ষিণবঙ্গে ব্যাপক প্রভাব পড়তে পারে। লণ্ডভণ্ড হতে পারে দক্ষিণবঙ্গের কয়েকটি জেলা। ফিরতে পারে আমফানের মত ভয়ংকর স্মৃতি।