প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: সবে ঠান্ডার আমেজ চড়তে শুরু করেছে শহর থেকে জেলায়। কুয়াশায় মুড়ে গিয়েছে গ্রাম থেকে শহর। বেশ মনোরম পরিবেশ তৈরি হয়েছে। কিন্তু এরই মাঝে ফের বৃষ্টির ভ্রুকুটি একাধিক জেলায়। ঘূর্ণাবর্ত এর জেরে তবে কি বড় দুর্যোগ পোহাতে হবে বঙ্গবাসীকে।
দুপুরেই পরিণত হবে ঘূর্ণিঝড়ে
শেষ আপডেট অনুযায়ী জানা গিয়েছে দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এবং তৎসংলগ্ন পূর্ব নিরক্ষীয় ভারত মহাসাগরের উপর যে অতি গভীর নিম্নচাপটি তৈরি হয়েছিল, তা ইতিমধ্যেই শক্তি বাড়িয়েছে। আজ অর্থাৎ ২৭ নভেম্বর দুপুরেই এই অতি গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে মৌসম ভবন। এই সিস্টেমটিকে কড়াইকালের আবহাওয়া অফিস থেকে নজরে রাখা হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে। এই অতি গভীর নিম্নচাপটি ত্রিনকোমালির প্রায় ১৯০ কিমি দক্ষিণপূর্বে, নাগাপট্টিনাম থেকে ৪৭০ কিমি দক্ষিণপূর্বে, পুদুচেরির ৫৮০ কিমি দক্ষিণ-দক্ষিণপূর্বে এবং চেন্নাইয়ের ৬৭০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপূর্বে অবস্থান করছে। গত ৬ ঘণ্টায় ১০ কিলোমিটার বেগে উত্তর-পশ্চিম দিকে সরে গিয়েছে।
পরোক্ষ প্রভাব দক্ষিণবঙ্গে!
ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার পরেই এটি উপকূলের দিকে উত্তর-উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে থাকবে। আর এই ঘূর্ণিঝড় এর নাম দেওয়া হয়েছে ‘ফেঙ্গল’। যার নামকরণ করেছে সৌদি আরব। আবহাওয়া দফতরের তরফে জানা গিয়েছে এই অতি গভীর নিম্নচাপের প্রত্যক্ষ না হলেও পরোক্ষ প্রভাব পড়বে বাংলায়। যার ফলে বেশ বাধার মুখে পড়বে শীত। জানা গিয়েছে আগামী শনিবার থেকে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে উপকূলের চার জেলায়। পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর এবং দুই ২৪ পরগনার মত উপকূলবর্তী জেলাতে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। আগামী সোমবার পর্যন্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা জারি করা হয়েছে।
উত্তরবঙ্গে বড় প্রভাব
তবে শুধু দক্ষিণে নয়, উত্তরেও বড় প্রভাব পড়বে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় দার্জিলিং ও কালিম্পং পার্বত্য এলাকায় হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। শিলাবৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে নিম্নচাপের জেরে শুক্রবার থেকে শীতের আমেজ কমতে পারে দুই বঙ্গে। ঝড়কে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যে তামিলনাড়ু জুড়ে চূড়ান্ত সতর্কতা জারি করা হয়েছে। দুর্যোগ মোকাবিলায় এদিনই প্রশাসনের সর্বোচ্চ কর্তাব্যক্তিদের নিয়ে বৈঠক করেছেন মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্টালিন। রাজ্যজুড়ে জারি করা হয়েছে চূড়ান্ত সতর্কতা।