বৃষ্টি অতীত হয়ে বাংলায় নতুন করে থাবা বসাতে চলেছে গরম আবহাওয়া। ফের একবার ৩৫-৪০ ডিগ্রির গণ্ডি পেরোতে চলছে বাংলার তাপমাত্রা। আগামীকাল বুধবার থেকেই বাংলার আবহাওয়ার আমূল বদল ঘটতে চলেছে বলে পূর্বাভাস জারি করেছে হাওয়া অফিস। তবে এসবের মাঝেই বঙ্গোপসাগরে এক মহা তুফানের জন্ম হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করলেন আবহাওয়া বিজ্ঞানীরা।
আমফানের মাস অর্থাৎ মে মাসের মধ্যেই বাংলার উপকূলে আছড়ে পরতে পারে এমন মহা বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড় যা হয়তো কেউ কল্পনাও করতে পারবেন না। মে মাসের শেষ সপ্তাহের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ বা বাংলাদেশ উপকূলে আঘাত হানতে পারে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়টি। এখন নিশ্চয়ই ভাবছেন যে এই সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়টির নাম কী? তাহলে জানিয়ে রাখি, আবহাওয়া বিজ্ঞানীরা এই বিধ্বংসী ঝড়ের নাম দিয়েছে ‘রেমাল’। হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন।
জানা যাচ্ছে, বাংলার উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে এই ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাব পড়তে পারে। আবহাওয়া বিজ্ঞানীরা আশঙ্কা করছেন, এই সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়টি আমফান বা আয়লাকেও হার মানাতে পারে। আসলে ২০মে, এই সময়টার মধ্যে দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে একটি গভীর নিম্নচাপের পরিস্থিতি তৈরি হবে। এবার সেটি শক্তি বাড়িয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। এরপর এটি ধীরে ধীরে উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে শক্তি অর্জন করবে। আগামী ২৪ মে এটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। এটি ২৪ মে সেটি ঘূর্ণিঝড়ের আকার নিতে পারে। ২৫ মে সন্ধের পর ঘূর্ণিঝড়টি পশ্চিমবঙ্গ বা বাংলাদেশের দিকে যেতে পারে। তবে কোথায় এটির ল্যান্ডফল হবে তা নিয়ে এখনও অবধি জোর দিয়ে কিছু বলতে পারছেন না বিজ্ঞানীরা।
তবে ১০০ কিমি বেগে হাওয়া বইতে পারে। সেইসঙ্গে উপকূলে কিছুটা হলেও ক্ষতি করতে পারে ঘূর্ণিঝড়টি। ঘূর্ণিঝড়ের পাশাপাশি বৃষ্টিও হতে পারে বলে খবর। এদিকে ইতিমধ্যে এই খবর চাউর হতেই সাধারণ মানুষ বিপদের গন্ধ পেতে শুরু করেছেন।