প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: বঙ্গে বর্ষার আগমন যেমন দেরিতে হয়েছে, তেমনই শীতের আগমনের ক্ষেত্রে বিলম্ব লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তবে সেটি হলেও ধীরে ধীরে রূপ দেখাচ্ছে শীত। যাকে বলে প্রথম বলেই ছক্কা হাঁকানো। চলতি মাসের ১৫ তারিখ থেকেই ঠান্ডা পড়তে শুরু করে দিয়েছে রাজ্যজুড়ে। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত শীতের কামড় বেশ অনুভব হতে শুরু করেছে। কিন্তু এই আবহেই এবার ঘূর্ণাবর্ত এর অশনি সংকেত দিল হাওয়া অফিস।
ঘুনাবর্তের ভ্রুকুটি
আবহাওয়ার শেষ আপডেট অনুযায়ী জানা গিয়েছে, কন্যাকুমারীর উপরে একটি ঘূর্ণাবর্ত অবস্থান করছে। এছাড়াও আরও একটি ঘূর্ণাবর্ত এর সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। সেটি দক্ষিণ বাংলাদেশ এবং সংলগ্ন এলাকার উপরে অবস্থিত রয়েছে। আর এই ঘূর্ণাবর্ত জেরে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়তে চলেছে কয়েকটি এলাকায়। হাওয়া অফিসের তরফে জানা গিয়েছে আজ এবং আগামীকাল তামিলনাড়ু, পুদুচেরি, কড়াইকাল, কেরল এবং মাহের কয়েকটি জায়গায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হবে। এবং মেঘালয়ে বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। তবে এইমুহুর্তে রাজ্যে বৃষ্টির একদমই কোনো সম্ভাবনা নেই।
উত্তরবঙ্গের আবহাওয়া
পাহাড়ি এলাকার একাধিক জেলা কুয়াশার চাদরে ঢেকেছে। উত্তরের তিন জেলায় ঘন কুয়াশার দাপট দেখা যাচ্ছে। দার্জিলিং, কালিম্পংয়ে ঠান্ডার দাপট প্রবল। ঘন কুয়াশায় ঢেকেছে মালদা এবং দক্ষিণ দিনাজপুরেও। এই সব জেলায় কুয়াশার জেরে দৃশ্যমানতা কমছে প্রায় ৫০ থেকে ২০০ মিটার। তাই ঘন কুয়াশার সতর্কতা জারি করেছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর।
দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়া
দক্ষিণের জেলাগুলিতে যে পরিমাণ শীত পড়েছে তার থেকে দ্বিগুণ বেশি শীতের মেজাজ রয়েছে পশ্চিমের জেলাগুলিতে। শীতের শুরুতেই পারদ অনেকটা নেমেছে পুরুলিয়ায়। যেখানে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমেছে। পাশাপাশি শ্রীনিকেতনে ১৩ ডিগ্রি। ঝাড়গ্রামে ১৪ ডিগ্রি। বর্ধমানে ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা। মোট কথা, রাজ্যজুড়েই শীতের আমেজ ভরপুর। সকাল থেকেই বইছে উত্তুরে হাওয়া। আপাতত আগামী ৬ দিন তাপমাত্রায় বিরাট হেরফের হবে না শহরে। নতুন করে তাপমাত্রা খুব বেশি নামবে না। সকালের দিকে কোনও কোনও এলাকায় হালকা কুয়াশা থাকতে পারে। বেলা বাড়লে আকাশ পরিষ্কার হয়ে যাবে।