অপেক্ষার আর মাত্র কয়েকটা ঘন্টা, তারপরেই বাংলা এবং বাংলাদেশ উপকূলে বিধ্বংসী আকার ধারণ করে আছড়ে পড়বে ঘূর্ণিঝড় রেমাল। ইতিমধ্যে আসন্ন এই ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কায় প্রহর গুনতে শুরু করেছেন বাংলার মানুষ জন। ইতিমধ্যে এই ঝড় নিয়ে জেলায় জেলায় সর্তকতা জারি করা হয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতরের তরফে। তবে এবার এই ঘূর্ণিঝড় নিয়েই প্রকাশ্যে এলো বিশাল বড় আপডেট, যা আপনারও শুনে রাখা জরুরী বৈকি।
কিছুক্ষণের মধ্যে বৃষ্টির সম্ভাবনা
যত সময় এগোছে বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় রেমাল নিয়ে অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে। এদিকে এই ঘূর্ণিঝড় এখন অবধি আছড়ে না পড়লেও এর এফেক্ট করতে শুরু করে দিয়েছে বিভিন্ন জায়গায়। শনিবাসরীয় দুপুরে কলকাতার শহরসহ বেশ কিছু জায়গায় বৃষ্টি হয়ে গিয়েছে। তবে এখনই থামছে না সেই বৃষ্টির মাত্রা। জানা যাচ্ছে, সন্ধ্যের দিকে ব্যাপক বৃষ্টিতে ভাসতে চলেছে কলকাতা শহর সহ বাংলার ৯ জেলা। এই জেলাগুলি হল পুরুলিয়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, পূর্ব মেদিনীপুর, উত্তর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব বর্ধমান, নদীয়া ও বাঁকুড়া।
ঝোড়ো হাওয়া বইবে
আর জায়গায় জায়গায় বৃষ্টির পাশাপাশি বইবে ঝোড়ো হাওয়া। এই হাওয়ার গতিবেগ হতে পারে ৪০ থেকে ৬০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা। অন্যদিকে দীঘার সমুদ্র উত্তাল হয়ে রয়েছে। চলছে মাইকিং। বর্তমানে এই ঘূর্ণিঝড়ের অবস্থান পশ্চিমবঙ্গের সাগরদ্বীপ থেকে ৪৪০ কিলোমিটার দক্ষিণে। আলিপুর জানাচ্ছে, ক্রমশ উত্তরদিকে যত এগোবে, বঙ্গোপসাগরের ওপর তীব্র জলীয় বাষ্প সংগ্রহ করে তা আরও ভয়ানক হয়ে উঠবে এটি।
আজ সন্ধের মধ্যেই বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া গভীর নিম্নচাপটি বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’-এ পরিণত হতে পারে। এরপর সেটি রবিবার মধ্য রাতের মধ্যে আছড়ে পড়বে। বাংলাদেশ এবং সাগর দ্বীপে এক ধাক্কায় ১৩০ কিমি বেগে ল্যান্ডফল করতে পারে বলে শোনা যাচ্ছে।
কখন, কোথায় ল্যান্ডফল করবে ‘রেমাল’
আগামীকাল রবিবার মধ্যরাতে বাংল-বাংলাদেশ উপকূল ঘেঁষে থাকা জায়গায় ল্যান্ডফল করবে। সাগর দ্বীপ এবং বাংলাদেশের খেপুপাড়ার মধ্যে আছড়ে পড়বে এই রেমাল। অন্যদিকে বকখালি, ফ্রেজারগঞ্জ, সাগর থানায় মাইকে সতর্কতা প্রচার চালানো হচ্ছে প্রশাসনের তরফে।