প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: সম্প্রতি কালীপুজোর আগে আছড়ে পড়েছিল ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’। যার কারণে জেলার পর জেলায় চাষের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। কার্যত বিপর্যয় নেমে এসেছে চাষিদের উপর। তবে ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’র প্রভাব বাংলায় তেমনভাবে না পড়লেও একনাগারে ঝড় বৃষ্টি, বিদ্যুতের তার আর রাস্তায় জমা জলে মরণ-ফাঁদ তৈরি হয়েছে। আর এই আবহেই সেই ঘূর্ণিঝড়ের রেশ কাটতে না কাটতেই আরও এক ভয়ংকর ঘূর্ণিঝড়ের আভাস দিল মৌসম ভবন।
চোখ রাঙাচ্ছে ‘ফিনজল’!
IMD সূত্রে জানা গিয়েছে, দক্ষিণ আন্দামান সাগর সংলগ্ন এলাকায় ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়েছে। আগামীকাল অর্থাৎ শনিবার দুপুরের মধ্যে এই ঘূর্ণাবর্ত দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপে পরিণত হবে। শ্রীলঙ্কা উপকূল ও তামিলনাডু সংলগ্ন দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে সোমবার এই নিম্নচাপ আরও শক্তিশালী হতে পারে। এবং ২৬ তারিখ বিকেলের পর এটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে বলে কিছু আন্তর্জাতিক আবহাওয়া মডেল দাবি করেছে। ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হলে এর নাম হবে ফিনজল। এর নামকরণ প্রস্তাব করেছে সৌদি আরব। যদি এটি ঝড়ে পরিণত হয়, তাহলে এটি মরসুমের দ্বিতীয় ঘূর্ণিঝড় হতে চলেছে।
বাংলায় কতটা প্রভাব ফেলবে?
আর এই ঘূর্ণিঝড় ফিনজল এর ল্যান্ডফল আশা করা যাচ্ছে শ্রীলঙ্কা দ্বীপের কোনও একটি উপকূলে। এখনও পর্যন্ত বিভিন্ন মডেল এই দাবি করে আসছে। যদিও IMD বলছে এখনই এব্যাপারে সুনির্দিষ্ট করে বলা সম্ভব হবে না। কতটা তীব্র হতে পারে তাও এখনও স্পষ্ট নয়। আগামী দিনে আবহাওয়ার গতি-প্রকৃতি কোন দিকে এগোচ্ছে তার উপর সবকিছু নির্ভর করছে। তখনই বোঝা যাবে, এটি পূর্ণাঙ্গ ঝড়ে পরিণত হতে চলেছে কি না। আর এই নিম্নচাপের সরাসরি কোনও প্রভাব পড়বে না পশ্চিমবঙ্গে।
সাধারণত, নভেম্বর মাস নাগাদ বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় তৈরি হলে তার প্রভাব পড়ে উত্তর অন্ধ্রপ্রদেশ, ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গে । এই পথে মাঝেমধ্যে পড়ে যায় বাংলাদেশ। ইতিমধ্যেই সেখানেভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি ও ঝোড়ো হাওয়ার সর্তকতা জারি করা হয়েছে। নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের একাংশে ইতিমধ্যেই বৃষ্টি শুরু হয়ে গিয়েছে। মৎস্যজীবীদের জন্যে সমুদ্রে মাছ ধরতে যাওয়ার ক্ষেত্রে সতর্কবার্তা।