শ্বেতা মিত্র, কলকাতাঃ একদিকে যখন নিম্নচাপের জেরে বাংলায় শীত আসতে বাধা পেয়েছে তখন অন্যদিকে বহু রাজ্যে তীব্র সতর্কতা জারি করল আইএমডি (India Meteorological Department)। আর এই সতর্কতা জারি করা হয়েছে তীব্র শৈত্যপ্রবাহের জন্য। বাংলায় মাঝে কয়েকটা দিন রেকর্ড গড়ছিল ঠান্ডা। তবে এখন নতুন করে বাংলায় নিম্নচাপের দাপটে ঠান্ডাটা অনেকটাই কমে গিয়েছে। যাইহোক, অন্যদিকে দেশের এমন বহু জায়গা রয়েছে যেখানে হু হু করে ঠান্ডা বাড়ছে। উত্তর ভারতের একাধিক রাজ্যে শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত রয়েছে।
বহু রাজ্যে হাই অ্যালার্ট জারি
হিমাচল প্রদেশ, জম্মু ও কাশ্মীর, রাজস্থান, পাঞ্জাব, তেলেঙ্গানা, ওড়িশা এবং দিল্লিতে তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে। পাহাড়ে তুষারপাতের প্রভাব দেখা যাচ্ছে গোটা উত্তর ভারতে। অন্যদিকে ঠান্ডার পাশাপাশি দূষণও যেন পাল্লা দিয়ে বাড়ছে রাজধানী দিল্লিতে। বাতাসের গুণমান খুব খারাপ বিভাগে পৌঁছেছে। এমন পরিস্থিতিতে জিআরএপি-৪ বাস্তবায়ন করা হয়েছে।
শূন্যে নামল তাপমাত্রা
IMD জানিয়েছে, হিমাচল প্রদেশ ও কাশ্মীরের অনেক জায়গায় তাপমাত্রা হিমাঙ্কের নীচে নেমে গেছে। হিমাচল প্রদেশের বিখ্যাত লাহুল স্পিতিতে রাতের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এখানে পারদ পৌঁছেছে মাইনাস ১০.৬ ডিগ্রিতে। এদিকে শ্রীনগরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল মাইনাস ৩.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
রাজধানী দিল্লির আবহাওয়া
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, দূষণের পাশাপাশি দিল্লিতে শৈত্যপ্রবাহের পরিস্থিতি অব্যাহত থাকবে। নেই বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা। আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, সোমবার রাতে দিল্লির সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৪.১ ডিগ্রি। এই নিয়ে চতুর্থবার ডিসেম্বরে তাপমাত্রা ৫ ডিগ্রির নিচে নেমেছে। সবথেকে বেশি ঠান্ডা অনুভূত হতে পারে আগামী ২১ ও ২২ ডিসেম্বর।
এদিকে জানলে হয়তো আকাশ থেকে পড়বেন যে রাজস্থানের মতো গরম জায়গাতেও ঠান্ডা সব রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে। রাজস্থানের ফতেপুরে ০.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস ঠান্ডা রেকর্ড করা হয়েছে। কোথাও কোথাও তীব্র শৈত্যপ্রবাহ রেকর্ড করা হয়েছে। বেশিরভাগ জায়গায় রাতের তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে ছিল। চুরুতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১.৫ ডিগ্রি, আলওয়ারে ২.২ ডিগ্রি, সিকর ২.৫, সাঙ্গারিয়া ও পিলানিতে ২.৭, ভিলওয়াড়া, চিতোরগড়ে ৩.৭ ডিগ্রি। ওড়িশার অন্তত ১৫টি জেলায় তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে রেকর্ড করা হয়েছে। পাল্লা দিয়ে ঠান্ডা বাড়ছে উত্তরপ্রদেশ, পাঞ্জাবের মতো জায়গাতেও।