লণ্ডভণ্ড হতে পারে সবকিছু! সোমবারই খেল দেখাবে ঘূর্ণিঝড় মান্থা, জারি তুমুল সতর্কতা

Published:

Cyclone
Follow

প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: কালীপুজো কাটতেই নিম্নচাপের চোখরাঙানি! রয়েছে মহা দুর্যোগের আশঙ্কা! জানা গিয়েছে আগামী সপ্তাহে দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণাবর্ত থেকে নিম্নচাপে রূপান্তরিত হয়ে এটি পরিণত হতে চলেছে বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড়ে (Cyclone)! যার জেরে লণ্ডভণ্ড হতে পারে সবকিছু ! ইতিমধ্যেই মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। সঙ্গে ভারী বৃষ্টির সতর্কতাও জারি করা হয়েছে।

ফের ঘূর্ণিঝড়ের দাপট!

গতকাল অর্থাৎ শুক্রবার নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে ঘূর্ণাবর্ত, যা আজ অর্থাৎ শনিবার সুস্পষ্ট নিম্নচাপে পরিণত হবে। শুধু তাই নয়, আগামীকাল এই নিম্নচাপই গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়ে পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিকে এগিয়ে দক্ষিণ-পশ্চিম এবং মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় গভীর নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে সোমবার সকালে। ঘূর্ণিঝড়ের অভিমুখ থাকবে পশ্চিম উত্তর-পশ্চিম দিক। ইতিমধ্যেই এর প্রভাবে দক্ষিণ ভারতের উপকূলীয় রাজ্য তামিলনাড়ুতে ইতিমধ্যেই ব্যাপক বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে।

কী নাম এই ঘূর্ণিঝড়ের?

মৌসম ভবনের তরফে জানানো হয়েছে যদি এই নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ের আকার নেয় তাহলে এর নাম হবে ‘মন্থা’, এই নামটি থাইল্যান্ড দিয়েছে। থাই ভাষায় ‘মন্থা’ শব্দের অর্থ “সুগন্ধি ফুল” বা “সুন্দর ফুল”। এছাড়াও মৌসম ভবনের শেষ আপডেট অনুযায়ী আশঙ্কা করা হচ্ছে নিম্নচাপ যদি ঘূর্ণিঝড়ের আকার ধারণ করে তাহলে এর শক্তি প্রবল হতে চলেছে। ইতিমধ্যেই ভয়ঙ্কর এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সোমবার চেন্নাই, তিরুভাল্লুর এবং রানিপেট এই তিন জেলায় অরেঞ্জ অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। ওই দিন এলাকাগুলিতে অতি ভারী থেকে অতি অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি উপকূলজুড়ে দমকা হাওয়া বইতে পারে, যা ঘণ্টায় ৬০–৭০ কিমি বেগে পৌঁছাতে পারে। সেই কারণে আগামী ২৮ অক্টোবর মঙ্গলবার থেকে মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। এবং ২৭ অক্টোবরের মধ্যে উপকূলে ফিরে আসারও পরামর্শ দিয়েছে আবহাওয়া দফতর।

আরও পড়ুন: চাকরি বেঁচে যাবে প্রাথমিক শিক্ষকদের! ২০১২ সালে টেট উত্তীর্ণদের নিয়ে বড় ভাবনা পর্ষদের

বাংলাতেও প্রভাব পড়বে ঘূর্ণিঝড় মান্থার?

এদিকে পশ্চিমী ঝঞ্ঝার প্রভাবে উইকেন্ডে বৃষ্টি হতে চলেছে উত্তরবঙ্গে। মূলত আংশিক মেঘলা আকাশ কোথাও মেঘলা আকাশ থাকবে। মূলত দার্জিলিং কালিম্পং পাহাড়ি এলাকায় বজ্রবিদ্যুৎসহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। অন্যদিকে ছিটেফোঁটা বৃষ্টি হতে পারে জলপাইগুড়ি এবং আলিপুরদুয়ার জেলাতেও। তবে সোমবার থেকে বৃষ্টির সম্ভাবনা কমবে। পশ্চিমী ঝঞ্ঝা পাস করে যেতেই পার্বত্য এলাকায় তৈরি হবে শুষ্ক আবহাওয়া। পাশাপাশি এই উইকেন্ডে বৃষ্টির হাত থেকে রেহাই পাবে না দক্ষিণবঙ্গেও।

গুরুত্বপূর্ণ
Join
চাকরির খবর
Join
রাশিফল
Join
খেলার খবর
Join