প্রীতি পোদ্দার, কলকাতাঃ দেশ থেকে বিদায় নিতে চলেছে বর্ষা। তবে বর্ষা গেলেও আরও বৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে বাংলায়। আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যে দক্ষিণ উপকূলীয় অন্ধ্রপ্রদেশ এবং সংলগ্ন উত্তর উপকূলীয় তামিলনাড়ুতে একটি নিম্নচাপ অঞ্চল সৃষ্টি হয়েছে। যার ফলে আগামী কয়েক ঘণ্টায় তা আরও উত্তর পশ্চিম দিকে সরবে এবং শক্তিক্ষয় করবে। শুধু তাই নয়, এরপর আগামী ২০ অক্টোবর উত্তর আন্দামান সাগরে তৈরি হতে পারে নতুন একটি ঘূর্ণাবর্ত। যা থেকে দু’দিনের মধ্যে নিম্নচাপ অঞ্চল তৈরির সম্ভাবনা রয়েছে। পাশাপাশি ২২ অক্টোবর, মধ্য বঙ্গোপসাগরে আরও এক নিম্নচাপ অঞ্চল তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তার প্রভাব পড়তে পারে পূর্ব উপকূল সংলগ্ন রাজ্যগুলিতে।
তবে IMD সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই নিম্নচাপ অঞ্চলের সরাসরি প্রভাব পশ্চিমবঙ্গে পড়বে কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে আগামী রবিবার দক্ষিণ আন্দামান সাগরে ঘূর্ণাবর্ত তৈরির এক প্রবল সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। যেটি কিনা আগামী মঙ্গলবার নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। এবং আশঙ্কা করা হচ্ছে নিম্নচাপের অভিমুখ থাকবে উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিক অর্থাৎ ওড়িশা ও অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূল বরাবর। এমনকি এও আশঙ্কা করা হচ্ছে যে আগামী ২৪ অক্টোবর থেকে আগামী ২৬ অক্টোবরের মধ্যে আছড়ে পড়বে সেই সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়। তবে যদি পশ্চিমবঙ্গের উপকূলে সেই সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়ে, তাহলে ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার থেকে ১৪০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে।
দক্ষিণবঙ্গের আগামীকালের আবহাওয়া
এইমুহুর্তে পশ্চিমবঙ্গের উপকূলবর্তী এলাকায় উঁচু ঢেউয়ের সতর্কতা জারি করা হয়েছে। জানা গিয়েছে আগামীকাল অর্থাৎ ১৯ অক্টোবর, শনিবার পর্যন্ত সমুদ্র উত্তাল থাকতে পারে। তবে ইতিমধ্যে মৎস্যজীবীরা যদি গভীর সমুদ্রে থাকে তাহলে কোনও সমস্যা হবে না। তাঁদের জন্য সতর্কতা জারি করা হয়নি। তবে সতর্ক করা হয়েছে সমুদ্রসৈকতে থাকা লোকজনকে। পর্যটকদের পাশাপাশি স্থানীয়দেরও সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। সমুদ্রের ঢেউয়ের উচ্চতা হতে পারে প্রায় পাঁচ ফুট পর্যন্ত। অন্যদিকে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে বৃষ্টির পরিমাণ কম থাকবে এবং শুষ্ক আবহাওয়া বিরাজ করবে। আগামীকাল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকবে ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
উত্তরবঙ্গের আগামীকালের আবহাওয়া
আগামীকাল উত্তরবঙ্গের দুই পার্বত্য জেলা দার্জিলিং এবং কালিম্পঙের বেশ কিছু এলাকায় হালকা বৃষ্টি চলবে। এছাড়া আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার এবং জলপাইগুড়ি জেলাতেও হালকা বৃষ্টি হবে। তবে ভারী বৃষ্টির কোনো সতর্কতা নেই।