প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: গত শনিবার মাঝরাতে ঘূর্ণিঝড় ‘ফেঙ্গল’ স্থলভাগে আছড়ে পড়ে প্রায় ৯০ কিমি গতিবেগে। যার দাপট থাকে পরের দিন রবিবার সকল পর্যন্ত। তবে এইমুহুর্তে দুর্বল হয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে ঘূর্ণিঝড়টি। কিন্তু সেই গভীর নিম্নচাপের জেরে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত হয়েছে তামিলনাড়ু এবং পুদুচেরি। ইতিমধ্যেই মৃত্যু হয়েছে সাত জনের। অন্যদিকে গতকাল সন্ধ্যায় তিরুভান্নামালাইয়ে বৃষ্টির জেরে ধস নামায় পাহাড় থেকে পাথর গড়িয়ে একটি বাড়ির উপর পড়ে। গুঁড়িয়ে যায় বাড়িটি। ঘটনায় পাঁচ শিশু-সহ এক পরিবারের সাত জন আটকে পড়েন। বাকি দেহ উদ্ধারের কাজ চলছে। তবে বঙ্গে এইমুহুর্তে দুর্যোগের মেঘ কেটেছে।
আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সম্পূর্ণ কেটে যাবে ঘূর্ণিঝড় ফেঙ্গল-র সমস্ত সাইড এফেক্ট। রাজ্যের সমস্ত জেলায় আজ থেকেই ধাপে ধাপে শুষ্ক হতে শুরু করবে রাজ্যের আবহাওয়া। মেঘলা আকাশ সম্পূর্ণ কেটে যাবে। আশা করা যাচ্ছে আগামী বৃহস্পতিবার থেকে আবহাওয়ার কিছুটা পরিবর্তন। তাপমাত্রা ধীরে ধীরে নামবে। ৩ ডিগ্রি তাপমাত্রা নামতে পারে আগামী রবিবারের মধ্যে। তাই এককথায় বলা যায় সপ্তাহান্তে জমিয়ে শীতের আমেজ পড়বে রাজ্য জুড়ে।
দক্ষিণবঙ্গে আগামীকালের আবহাওয়া
আগামীকাল অর্থাৎ বুধবার, দক্ষিণবঙ্গে কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ এবং নদিয়া জেলায় বৃষ্টির কোনো সম্ভাবনা নেই। শুষ্ক এবং শীতল আবহাওয়া বিরাজ করবে। তবে ভোর এবং সকালের দিকে কুয়াশার দাপট দেখা যাবে। কিন্তু সর্বনিম্ন তাপমাত্রার কোনো পরিবর্তন হবে না।
উত্তরবঙ্গে আগামীকালের আবহাওয়া
উত্তরবঙ্গে আগামীকাল অর্থাৎ বুধবার, মেঘলা আকাশ থাকলেও দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর এবং মালদা জেলায় বৃষ্টি হবে না। ভোর থেকে হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশার দাপট দেখা যাবে। তবে ঘন কুয়াশার কোনো সতর্কবার্তা দেওয়া হয়নি। আগামী বৃহস্পতিবার এবং শুক্রবার দার্জিলিং এবং কালিম্পং জেলার একটি বা দুটি অংশে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হবে।