প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: দেখতে দেখতে আরও একটি বছর পার। দুঃখ, কষ্ট, দ্বন্দ্ব, রেষারেষি, আনন্দ ও ভালোবাসা দিয়ে ২০২৪ কে বিদায় জানিয়ে হাসি মুখে সমাদরে আপ্যায়ন করা হল ২০২৫ কে। ফের আরও একটি নতুন ইনিংস লিখবে এই বছর। তবে আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনা যেন পুরোনো বছরেই আটকে রয়েছে। এমনিতেই ২০২৪ এর শেষের দিনগুলিতে হালকা শীতে দিন কাটিয়েছে রাজ্যবাসী। এমনকি ২৫ শে ডিসেম্বর ছিল গত ১০ বছরের সবচেয়ে উষ্ণতম দিন ছিল। তবে ৩১ডিসেম্বর রাত থেকে আবহাওয়া তার রূপ ধীরে ধীরে পরিবর্তন করতে শুরু করেছে। তাই বছরের শুরুতে শীত এক নয়া অবতারে ধরা দিল রাজ্যবাসীর কাছে।
আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে আজ থেকে আবহাওয়ার ব্যাপক ভোলবদল হতে চলেছে। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা এবার অনেকটাই নিম্নমুখী হবে। গোটা রাজ্য তো বটেই কলকাতাতেও বর্ষ শুরুর প্রথম দিনে বেশ শীতের আমেজ বজায় থাকবে সকাল থেকে। মূলত পশ্চিমের জেলাগুলিতে এক ধাক্কায় নেমে যেতে পারে পারদ। আশা করা যাচ্ছে আগামী ৪৮ ঘণ্টায় দক্ষিণবঙ্গের (South Bengal) কিছু কিছু জেলায় তাপমাত্রা এক লাফে ৫ ডিগ্রি পর্যন্ত নামতে পারে। তবে এটা চিরস্থায়ী নয়। আগামী ৪ এবং ৫ জানুয়ারি পর থেকে আবার একটি পশ্চিমী ঝঞ্ঝা দেখা দেবে রাজ্যে। যার ফলে তাপমাত্রা আবার একটু ঊর্ধ্বমুখী হবে। কিন্তু পশ্চিমী ঝঞ্ঝা কেটে গেলে ফের তাপমাত্রা নিম্নমুখী হবে।
দক্ষিণবঙ্গে আজকের আবহাওয়া
আজ থেকে বেশ কয়েকদিন বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই দক্ষিণবঙ্গের কোনো জেলাতেই। বরং উল্টে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা অনেকটাই কমতে চলেছে। জানা গিয়েছে আগামী কয়েকদিন কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে। আগামী শুক্রবার পর্যন্ত কলকাতায় দিনে এবং রাতের তাপমাত্রা কিছুটা কমবে। তবে পিছু ছাড়বে না কুয়াশা। হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশার দাপট থাকবে পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, নদিয়া জেলায়। এছাড়া দক্ষিণবঙ্গের বাকি জেলাগুলিতেও কম-বেশি কুয়াশা বজায় থাকবে।
উত্তরবঙ্গে আজকের আবহাওয়া
শুধু দক্ষিণবঙ্গ নয় ভরপুর শীতের আমেজ বজায় থাকবে উত্তরবঙ্গের সমস্ত জেলাতে। দার্জিলিং, কালিম্পঙ, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর, মালদাতে শুষ্ক এবং শীতল আবহাওয়া বজায় থাকবে। আর এই আবহে উত্তরবঙ্গে কুয়াশার দাপট বেশি থাকবে। ঘন কুয়াশার সতর্কতা জারি করা হয়েছে দার্জিলিং জলপাইগুড়ি কোচবিহার উত্তর দিনাজপুর জেলাতে। এতটাই কুয়ার দাপট থাকবে যে দৃশ্যমানতা ২০০ মিটারের নিচে থাকবে। আবার কোনো এলাকায় ৫০ মিটারে নেমে আসতে পারে দৃশ্যমানতা।