প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: চলতি মাসে অর্থাৎ ডিসেম্বরের প্রথমেই তামিলনাড়ুর স্থলভাগে আছড়ে পড়েছিল ঘূর্ণিঝড় ‘ফেনজল’। ৯০ কিমি প্রতি ঘন্টা গতিবেগে আছড়ে পড়েছিল সেই ঝড়। ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে রাজ্য জুড়ে। যদিও বাংলায় এই দুর্যোগের প্রত্যক্ষ প্রভাব না পড়লেও পরোক্ষ প্রভাব দেখা গিয়েছিল। আর এই আবহে এক দুর্যোগ কাটতে না কাটতেই ফের আরও এক দুর্যোগের সম্মুখীন হতে হচ্ছে রাজ্যকে।
মৌসম ভবন সূত্রে জানা গিয়েছে, এইমুহুর্তে দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এবং সংলগ্ন দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর উপরে সুস্পষ্ট নিম্নচাপ রয়েছে। যা গতকাল সকাল থেকে সেটি আরও পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হচ্ছে। এর অভিমুখ রয়েছে শ্রীলঙ্কা-তামিলনাড়ু উপকূলের দিকে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় সেটি শ্রীলঙ্কা-তামিলনাড়ু উপকূলের আরও কাছে আসবে বলে জানা গিয়েছে। এর ফলে চেন্নাই সহ একাধিক জেলায় প্রবল বৃষ্টি শুরু হয়েছে গতকাল রাত থেকেই। তাই সরকার তামিলনাড়ুর ১১ জেলায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার নির্দেশ পাঠিয়েছে। ভারী বৃষ্টির কারণে জারি করা হয়েছে হলুদ সতর্কতা। তবে স্বস্তির বিষয় হল এই দুর্যোগের একটুও প্রভাব পড়বে না বাংলায়। উল্টে পড়বে জাঁকিয়ে ঠান্ডা।
দক্ষিণবঙ্গে আগামীকালের আবহাওয়া
আগামীকাল অর্থাৎ শুক্রবার, কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ এবং নদিয়া জেলার আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা আরও ২-৩ ডিগ্রি কমবে। সকালের দিকে আবার পশ্চিম মেদিনীপুর, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম এবং মুর্শিদাবাদের একটি বা দুটি অংশে হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা পড়তে পারে।
উত্তরবঙ্গে আগামীকালের আবহাওয়া
অন্যদিকে একই আবহাওয়া চিত্র দেখা যাবে উত্তরবঙ্গে। সকালের দিকেও ঘন কুয়াশা পড়বে উত্তরবঙ্গের সমস্ত জেলাগুলিতে। সেদিন দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার এবং উত্তর দিনাজপুরের একটি বা দুটি অংশে ঘন কুয়াশা থাকবে। ওই চারটি জেলায় হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। তবে দুটি জেলায় অর্থাৎ দক্ষিণ দিনাজপুর এবং মালদা জেলার একটি বা দুটি অংশে হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা পড়তে পারে। সেখানে সতর্কতা জারি করা হয়নি।