দিন কয়েক আগেই রাজ্যের ওপর দিকে বয়ে গিয়েছিল ভয়ংকর ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’। বৃষ্টির সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়ার কারণে দিন কয়েক নেমেছিল তাপমাত্রার পারদ। বেশ কিছু জায়গায় হয়েছিল ভারী বৃষ্টি। অনেকে আশা করেছিলেন ঘূর্ণিঝড়ের মেঘের সঙ্গে বঙ্গে দ্রুত ঢুকতে পারে বর্ষার মেঘ। কিন্তু সেগুড়ে বালি। কোথায় কী? আকাশে রোদই রোদ। আবার সেই কাঠফাটা রোদ, সকাল থেকে সপ্তমে সূর্যের তেজ।
বর্ষা কবে আসবে
শুক্রবার সন্ধ্যায় কলকাতা সহ রাজ্যের বেশ কিছু জায়গায় বজ্র বিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির খবর পাওয়া গিয়েছিল। কমেছিল গরম। সেটা অবশ্য সাময়িক। সকাল থেকে যে কে সেই। মানুষের মনে এখন একটাই প্রশ্ন। বর্ষা কবে আসবে? সাধারণ মানুষের এই প্রশ্ন আবহাওয়াবিদদের করা হয়েছিল। তাঁরা যা জানিয়েছেন তাতে খুশি হওয়ার থেকে মুষড়ে পড়ার সম্ভাবনা প্রবল। আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, এ বছর পশ্চিমবঙ্গে বর্ষা ঢুকতে দেরি হতে পারে। স্বাভাবিক সময়ের থেকে কিছু দেরিতেই রাজ্যে প্রবেশ করবে মৌসুমী বায়ু। তারপর মেঘ সঞ্চার হয়ে বৃষ্টির সম্ভাবনা। তা-ও বর্ষা ঢুকতে এখনও ক’দিন বাকি?
কী বলছেন আবহাওয়া বিজ্ঞানীরা
সংবাদ মাধ্যমে রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে ১৫ জুনের পর রাজ্যে বর্ষা প্রবেশ করতে পারে। সাধারণ জুনের ১২ তারিখ নাগাদ বাংলায় ঢোকে বর্ষার মেঘ। এবার দিন তিনেক দেরি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এবারেও আশা করা হয়েছিল ১০ থেকে ১২ তারিখের মধ্যে দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা প্রবেশ করবে। আশা এখন পরিণত হতে চলেছে নিরাশায়। যদিও দেশে ইতিমধ্যে বর্ষার মেঘ ঢুকে পড়েছেন, কিন্তু বাংলায় আসতে দেরি হবে। কেরলে বর্ষা প্রবেশ করেছিল ৩১ মে। বাংলায় ঢুকতে এখনও কিছুটা সময় বাকি। তবে আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আগামী কয়েক দিন উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার ও জলপাইগুড়িতে বিক্ষিপ্তভাবে ভারী বৃষ্টি হতে পারে।