নির্ধারিত সময়ের আগেই দেহে আগমন ঘটেছে বর্ষার। জানলে খুশি হবেন, গত ১৯ মে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু বা বর্ষা যায় বলুন, নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে প্রবেশ করেছে এবং আগামী ৪৮ ঘণ্টায় এটি আরো অগ্রসর হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে । ইতিমধ্যে এর প্রভাব পড়তে শুরু করেছে রাজ্যে রাজ্যে। বৃষ্টিতে ভিজতে শুরু করেছে বাংলা সহ ব্দশ কিছু রাজ্য।
গতকাল সোমবার থেকেই আইএমডি থেকে শুরু করে আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাসকে সত্যি করে বাংলায় স্বস্তির বৃষ্টি শুরু হয়েছে। সেই সঙ্গে তাপমাত্রা তো বেশ খানিকটা পতন লক্ষ্য করা দিয়েছে। এদিকে আজ মঙ্গলবার সকাল থেকেই কলকাতা শহর সহ একের পর এক জেলার আকাশ কালো মেঘে ঢেকে রয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, আজকে তবে বৃষ্টি নামবে? এই বিষয়ে বড়সড় তথ্য দিল আলিপুর আবহাওয়া দফতর। বলা হচ্ছে? আজ থেকে এবং আগামী কয়েক দিন কলকাতার সহ-সহ দক্ষিণবঙ্গের একের পর এক জেলায় বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে। সেইসঙ্গে দোসর হবে বজ্রবিদ্যুৎ এবং ঝোড়ো হাওয়া। হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন।
বঙ্গোপসাগরে একটি নিম্নচাপের সৃষ্টি হয়েছে, যার দরুণ আপাতত বাংলায় ব্যাপক ঝড় বৃষ্টির তান্ডব চলবে। এই নিম্নচাপটি ঘূর্ণাবর্তে পরিণত হওয়ার কোথাও জানিয়েছে আলিপুর হাওয়া অফিস। এদিকে জানা যাচ্ছে, আজ মঙ্গলবার অর্থাৎ সপ্তাহের দ্বিতীয় দিনে কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের সমস্ত জেলায় বজ্র বিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির সঙ্গে ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইবে। ইতিমধ্যে হাওয়া অফিসের তরফে হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
এবার আসা যাক উত্তরবঙ্গের কথায়। আজ উত্তরবঙ্গের পাহাড়ি হোক কিংবা সমতল, সব জেলাতেই বজ্রবিদ্যুৎ সহ ঝড় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। অর্থাৎ বৃষ্টি হবে দার্জিলিং, কালিম্পঙ, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, দুই দিনাজপুর এবং মালদহে। তবে বারু বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে জলপাইগুড়ি এবং কোচবিহার জেলায়। এদিকে ঝোড়ো হাওয়ার গতিবেগ হতে পারে ৩০-৪০ কিমি প্রতি ঘণ্টা।
এদিকে মৎস্যজীবীদের উদ্দেশ্যও সতর্কতা জারি করা হয়েছে। উত্তাল থাকতে পারে সমুদ্র, যে কারণে মৎস্যজীবীদের আগামী কয়েকদিন সমুদ্রে যাওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। তারই সঙ্গে যারা সমুদ্রে রয়েছেন তাঁদের ফিরে আসার কথাও বলা হয়েছে। যাইহোক, আগামী কিছুদিনের মধ্যেই কেরলে প্রবেশ করতে চলেছে বর্ষা। এর ফলে কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গে আগামী দিনগুলোতে বৃষ্টিপাত ধীরে ধীরে বাড়বে বলে আশা করছেন আবহাওয়া বিজ্ঞানীরা।