নিম্নচাপ, অক্ষরেখা, ঘূর্ণাবর্ত অতীত, এবার শিয়রে রয়েছে আরও এক ঘূর্ণিঝড়। আমফান, ফনিকে মাত দিতে এবার ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’ বলে কানাঘুষো শোনা যাচ্ছে। এর তীব্রতা অতীতের অনেক ঘূর্ণিঝড়কে হার মানাবে বলে আশঙ্কা করছেন আবহাওয়া বিজ্ঞানীরা। জানা যাচ্ছে, এপ্রিল মাসের শেষের দিকে এই ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পরতে পারে।
টানা বৃষ্টির হওয়ার পর কিছুটা স্বস্তি ফিরলেও ফের একনার বাড়তে শুরু করেছে তাপমাত্রা। দেশের অধিকাংশ রাজ্যেই মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। বাদ যায়নি বাংলাও। আগামী কয়েকদিনে তাপপ্রবাহের প্রকোপ আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা। তবে এরই মধ্যে প্রবল ঘূর্ণিঝড় রিমালের আভাস পাওয়া যাচ্ছে। আইএমডি বলছে, চলতি মাসের শেষের দিকে পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় আঘাত হানতে পারে এই শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়।
বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়ের জন্য আদর্শ পরিবেশ তৈরি হয়েছে আগেই। যা আগামী ২০ মে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। আসলে ২০মে, এই সময়টার মধ্যে দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে একটি গভীর নিম্নচাপের পরিস্থিতি তৈরি হবে। এবার সেটি শক্তি বাড়িয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। এরপর এটি ধীরে ধীরে উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে শক্তি অর্জন করবে। আগামী ২৪ মে এটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। এটি ২৪ মে সেটি ঘূর্ণিঝড়ের আকার নিতে পারে। ২৫ মে সন্ধের পর ঘূর্ণিঝড়টি পশ্চিমবঙ্গ বা বাংলাদেশের দিকে যেতে পারে। হাওয়ার সর্বোচ্চ গতিবেগ ১৮০ থেকে ২০০ কিমি প্রতি ঘণ্টা হতে পারে।
আবহাওয়াবিদদের আশঙ্কা, কক্সবাজার থেকে পশ্চিমবঙ্গের উপকূলবর্তী কোনও এলাকায় সেটা আঘাত হানতে পরে এই ঘূর্ণিঝড়টি। বঙ্গোপসাগরের পশ্চিম উপকূলে যদি এটি আঘাত হানে তাহলে বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ১৫০ -১৮০ কিলোমিটার হতে পারে, আবার পূর্ব উপকূলে আঘাত করলে তা ঘণ্টায় ১৭০-২০০ কিলোমিটার অবধি হতে পারে।