সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: রবিবার রাতে ঘটে গেল আরও এক হৃদয়বিদারক ঘটনা! হ্যাঁ, রাত তখন 2:05 বাজে। খিদিরপুর বাজারের কিছু ব্যবসায়ী হঠাৎ করেই ধোঁয়া (Khidirpur Massive Fire) লক্ষ্য করেন। আর মুহূর্তের মধ্যেই সেই ধোঁয়া দাউ দাউ আগুনে রূপ নেয়। চোখের পলকে ধ্বংস হয়ে যায় 1300 দোকান। এক কথায়, মাথায় হাত পড়ে ব্যবসায়ীদের!
কীভাবে লাগল ওই আগুন?
রাত তখন বেশ গভীর। বেশিরভাগ দোকানের শাটার বন্ধ। গোটা এলাকায় নিস্তব্ধতা। আর ঠিক সে সময় হঠাৎ বাজারের একাংশ থেকে ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়তে থাকে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, শুরুতে দেখলাম ধোঁয়া উড়ছে। তবে কিছুক্ষণের মধ্যেই বিরাট রূপ ধারণ করে আগুনের লেলিহান শিখা!
সূত্রের খবর, এই ভয়ংকর অগ্নিকাণ্ডে 1300-র বেশি দোকান মুহূর্তের মধ্যে পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে। এমনকি ঘটনাস্থলে দমকলের 20টি ইঞ্জিন আসলেও ততক্ষণে সব শেষ! অভিযোগ, দমকল আসতে অনেকটাই দেরি করেছিল। তবে স্থানীয়রা মনে করছে, কোনও শর্ট সার্কিট কিংবা দাহ্য বস্তু থেকেই এই আগুনের সূত্রপাত।
দমকল সময়মতো না পৌঁছনোতে এত ক্ষতি?
ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করছে, আগুন লাগার পর বারবার দমকলকে ফোন করা হয়েছিল। তবে গাড়ি আসতে অনেকটাই বিলম্ব করেছিল। ততক্ষণ আগুন ভয়াবহ রূপ ধারণ করে। ঘটনাস্থলে হাজির হওয়া দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু জানিয়েছেন, এটা ঘিঞ্জি এলাকা। অনেক দোকান নিয়ম না মেনেই তৈরি করা হয়েছে। আর সে কারণেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে অসুবিধা হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ নাগরিকত্বের প্রমাণ থাকা স্বত্বেও বাংলাদেশে পুশ ইন! পশ্চিমবঙ্গের যুবকের সঙ্গে অমানবিক ঘটনা
বলে রাখি, সময় মতো দমকল না পৌঁছনোর অভিযোগ কার্যত উড়িয়ে দিয়েছেন মন্ত্রী। এমনকি সোমবার সকালে পৌর মন্ত্রী ফিরাদ হাকিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে গোটা পরিস্থিতিকে পরিদর্শন করেন। পাশাপাশি আপাতকালীন জল সরবরাহের ব্যবস্থা ব্যবস্থার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে।
বলে রাখি, এই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে এখনো ক্ষতির পরিমাণ কিছু জানা যায়নি। তবে অনুমান করা হচ্ছে, কয়েক কোটি টাকার জিনিস পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে। এমনকি দোকানদাররা জানাচ্ছে, তাদের কোনোরকম বীমা ছিল না। ফলে তাদের এখন পথে নামা ছাড়া আর কোনও উপায় নেই।
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join Hood Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join Hood Rashifal |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |