সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: উৎসবের আনন্দে আবারও শোকের ছায়া বীরভূমে (Birbhum)। দুর্গাপুজোর একাদশীর রাতে প্রতিমা নিরঞ্জনের সময় ঘটে গেল এক মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। জানা যাচ্ছে, বীরভূম জেলার নানুর থানার অন্তর্গত পাকুড়হাঁস গ্রামে মারধরের জেরে ১৯ বছরের এক যুবকের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে, যার নাম অভিজিৎ মেটে। আর এই ঘটনায় গোটা এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
কীভাবে ঘটল এই ঘটনা?
স্থানীয় রিপোর্ট অনুযায়ী জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে প্রতিমা নিরঞ্জনের সময় পাড়ার কিছু যুবকের সঙ্গে অভিজিতের বচসা বাধে। আর সেই ঝামেলা রণক্ষেত্রে রূপ নেয়। একাধিক ব্যক্তি মিলে তাকে মারধর করে। রাতেই গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে সেখান থেকে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে বোলপুর মহাকুমা হাসপাতালে অ্যাডমিট করা হয়। কিন্তু চিকিৎসকের প্রচেষ্টা সত্বেও শনিবার সকালে সে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে।
মৃত ব্যক্তির খুড়তুতো দিদি সুপর্ণা মেটে বলেছেন, একাদশীর রাতে প্রতিমা নিরঞ্জনের সময় কয়েকজন মাতালের সঙ্গে ওর ঝামেলা বাধে। এমনকি ওরা ওকে খুব মারধরও করে। তখনও ভাবিনি যে এত বড় সর্বনাশ হবে। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর সব শেষ।
এদিকে অভিযুক্তদের পরিবারের মহিলারা দাবী করছেন, দুই পক্ষের মধ্যে কিছু একটা নিয়ে ঝামেলা হয়েছিল। পরে ধস্তাধস্তি হয়। এদিকে গ্রামবাসীরা জানাচ্ছে, অভিজিৎ শান্ত স্বভাবেরই ছেলে। হায়দ্রাবাদে কাজ করত। কয়েক দিনের জন্য পুজোর ছুটিতে বাড়িতে এসেছিল। পরিযায়ী শ্রমিক হিসেবে চিনত সবাই। কে জানত, এই ছুটি ওর জীবনের শেষ দিন হয়ে যাবে!
আরও পড়ুনঃ তারাপীঠে প্রতিমা নিরঞ্জনের সময় উত্তেজনা! গ্রেপ্তার তৃণমূল প্রধানের স্বামী সহ ৫
তবে এই ঘটনার পর অভিযুক্ত সহ কয়েকজন পলাতক। পুলিশ ইতিমধ্যেই এই ঘটনার মামলা দায়ের করেছে এবং তদন্ত শুরু করে দিয়েছে। নানুর থানার এক আধিকারিক জানিয়েছেন, সমস্ত দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে এবং তদন্ত চলছে। অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে করা শাস্তি দেওয়া হবে।