প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতির পর তরুণের স্বপ্ন প্রকল্পে (Taruner Swapna Scheme 2024) ট্যাব কেলেঙ্কারি নিয়ে সামনে আসছে একের পর এক বিস্ফোরক তথ্য। পুলিশের মাথা ব্যথার কারণ হয়ে উঠেছে এখন এই ট্যাব দুর্নীতি। পূর্ব মেদিনীপুর থেকে পূর্ব বর্ধমান, মালদা থেকে উত্তর ২৪ পরগনা, মুর্শিদাবাদ থেকে পশ্চিম বর্ধমান, ঝাড়গ্রাম। ক্রমশ দীর্ঘ হচ্ছে সেই তালিকা। জেলার গণ্ডি ছাড়িয়ে কলকাতাতেও উঠছে এই অভিযোগ। আর তার জেরেই কলকাতা পুলিশ এবং CID রাজ্য জুড়ে অভিযান চালাচ্ছে। এমনকি ১০ সদস্যের সিটও গঠন করা হয়েছে।
Taruner Swapna Scheme 2024: টাকা ঢুকল ৩০০ অ্যাকাউন্টে!
একের পর এক ট্যাব কেলেঙ্কারির অভিযোগ কলকাতা-সহ রাজ্যের বিভিন্ন থানায় নথিভুক্ত করা হয়েছে৷ পশ্চিমবঙ্গ সিআইডি এবং কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে এবং একাধিক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই চোপড়া, ইসলামপুর ও তার আশপাশের এলাকার বাসিন্দার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট টাকা ঢুকছে। রীতিমত উদ্বেগ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে ছাত্র ছাত্রীদের মনে। তবে এই আবহে এক বড় খবর উঠে এল সামনে। ট্যাবের টাকা গায়েবের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৩০০ জন পড়ুয়া ফেরৎ পেলেন টাকা।
৮০ টিরও বেশি স্কুলে ট্যাবের টাকা হস্তান্তর
সূত্রের খবর, নবান্নে স্কুল শিক্ষা দফতরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে ৫০০-রও বেশি পড়ুয়ার টাকা গায়েব হলেও ইতিমধ্যে ৩০০ জন পড়ুয়ার টাকা অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে। পড়াশোনার সুবিধার্থে রাজ্য সরকার একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের ট্যাব কেনার জন্য ১০ হাজার টাকা করে দেয়। পুজোর পর থেকেই পড়ুয়াদের অ্যাকাউন্টে সরাসরি সেই টাকা ঢুকতে শুরু করে। কিন্তু অভিযোগ উঠে আসে অনেক পড়ুয়ার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টেই টাকা ঢোকেনি। শুরুটা হয়েছিল পূর্ব বর্ধমান জেলায়। সেখানে বেশ কয়েক জন পড়ুয়ার ট্যাবের টাকা অন্য ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে চলে গিয়েছে বলে অভিযোগ করেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। তার পর বিভিন্ন জেলা থেকেই পড়ুয়াদের টাকা গায়েবের অভিযোগ প্রকাশ্যে আসে। প্রায় ৮০ টিরও বেশি স্কুলে এই ঘটনা ঘটেছে।
কিন্তু এরই মধ্যে নবান্নের নির্দেশে টাকা ঢুকতে শুরু করেছে অ্যাকাউন্টে অ্যাকাউন্টে। আশঙ্কা করা হচ্ছে ধীরে ধীরে প্রত্যেকের অ্যাকাউন্টে ঢুকবে টাকা। সরশুনার স্কুলের পড়ুয়াদের টাকা গায়েবের অভিযোগে উত্তর দিনাজপুরের চোপড়া থেকে দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের নাম কৃষ্ণপদ বর্মণ এবং সরিফুল ইসলাম। তাঁদের মধ্যে এক জন কৃষক, অন্য জন চা-শ্রমিক। কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের থেকে খবর পেয়ে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে ইসলামপুর থানার পুলিশ। সূত্রের খবর, দুই অভিযুক্তের সঙ্গেই যোগ রয়েছে সাইবার ক্যাফের।
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join Hood Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join Hood Rashifal |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |