পার্থ সারথি মান্না, কলকাতাঃ দীর্ঘ ২ বছর ধরে চলতে থাকা ডিএ (Dearness allowance) মামলা বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টে উঠেছে। ৭ই জানুয়ারি মামলার শুনানি হওয়ার কথা। তাই শিয়ালদহ থেকেই দিল্লির উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন মামলাকারীরা। কিন্তু আগে বিমানে গেলেও এবারে ট্রেনেই যেতে হয়েছে। এই প্রসঙ্গেই মুখ খুললেন কনফেডারেশন অফ সেট গনভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজের সাধারণ সম্পাদক মলয় মুখোপাধ্যায়।
DA মামলা আরও দীর্ঘায়িত করতে চাইছে সরকার!
মলয়বাবুর মতে, আগে মামলার শুনানির দিনগুলিতে বিমানে করেই দিল্লি যাওয়া হাত। কিন্তু এখন আর্থিক কারণে সেটা সম্ভব হচ্ছে না, ট্রেনের টিকিট কাটতে হচ্ছে। একইসাথে তাঁর অভিযোগ, সরকার চায় মামলা আরও দীর্ঘদিন টেনে নিয়ে যেতে। যাতে মামলাকারী সরকারি কর্মীদের টাকা শেষ হয়ে যায় ও তাঁরা এই মামলার থেকে বেরিয়ে যেতে বাধ্য হন।
DA মামলার সাহে কর্মীদের বাকি ভাতাও যুক্ত হয়েছিল, যার ফলে ‘এক্সটেন্সিভ হিয়ারিং’ পর্যায়ে পৌঁছেছিল মামলাটি। তবে ১৫ই জুলাই আদালতের নির্দেশনামায় বলা হয়, এই মামলার বিস্তারিত শুনানির প্রয়োজন। তাই ৭ই জানুয়ারি পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য্য করেন জাস্টিস ঋষিকেশ রায় ও জাস্টিস এস ভাট্টি।
১৩ বার পিছিয়ে ৭ই জানুয়ারি DA মামলার আগামী শুনানি
পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সাথে রাজ্যের সরকারি কর্মীদের DA নিয়ে সংঘাত দীর্ঘদিনের। সেই ২০১৬ সাল থেকেই মামলা চলছে। প্রহোমে স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইবুনাল, তারপর কলকাতা হাইকোর্ট থেকে সুপ্রিম কোর্টে উঠেছে মামলা। শেষ দুবছর ধরে সুপ্রিম কোর্টেই রয়েছে মামলাটি। মামলায় প্রথম স্যাটে রাজ্য জিতলেও পরবর্তী সমস্ত ক্ষেত্রেই রাজ্য সরকারি কর্মীরা জয় পেয়েছে।
২০২২ সালে জাস্টিস দীনেশ মহেশ্বরী ও জাস্টিস ঋষিকেশ রায় বিচারপতি থাকালীন প্রথম DA মামলা সুপ্রিম কোর্টে ওঠে। এর এক বছর পর মামলা জাস্টিস ঋষিকেশ রায় ও জাস্টিস দীপঙ্কর রায়ের এজলাসে আসে। পরবর্তীতে ২৮শে এপ্রিল ২০২৩ সালে শেষ শুনানি হয় এই এজলাসে, এরপর জাস্টিস দীনেশ মহেশ্বরী অবসর নেন।
ইতিমধ্যেই আরেক বিচারপতি জাস্টিস ঋষিকেশ রায়ের অবসরের দিনও এগিয়ে আসছে। আগামী ৩১শে জানুয়ারি অর্থাৎ মাত্র ২৪ দিন বাকি কর্মজীবনের। তাই আদৌ এই মামলার নিস্পত্তি হবে কি না তা নিয়ে সন্দেহ তৈরী হয়েছে সরকারি কর্মীদের একাংশের মধ্যে।