প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: প্রাথমিকের শিক্ষক (Primary Teachers) হতে গেলে ডিএড বা ডিএলএড কোর্স করতে হয়। এছাড়াও আগের নিয়ম অনুযায়ী, বিএড প্রশিক্ষিতরাও প্রাথমিকের শিক্ষক পদে চাকরি পাবেন। তবে তাঁদের চাকরি পাওয়ার এক বছরের মধ্যে একটি ছ’মাসের ‘ব্রিজ কোর্স’ করতে হয়। কারণ, বিএড প্রশিক্ষণ উচ্চ প্রাথমিক, মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে শিক্ষকতার জন্য। দীর্ঘ দিন ধরে বিএড করে আসা প্রাথমিক শিক্ষকদের এই ‘ব্রিজ কোর্স’ করানোর দাবি উঠছিল। বিএড ডিগ্রি নিয়ে প্রাথমিক স্কুলের চাকরিতে নিযুক্ত অন্তত ১০ হাজার শিক্ষককে ব্রিজ কোর্স করার নির্দেশ দিল এনসিটিই (National Council for Teacher Education)।
কোর্স সম্পন্ন না হলে চাকরি বাতিল
যদিও সুপ্রিম কোর্ট অনেক আগেই ৬ মাসের ‘ব্রিজ কোর্স’ প্রশিক্ষণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশিকায় বলা হয়েছিল যে, ১১ আগস্ট, ২০২৩-এর রায়ের আগে যে সমস্ত বি এড যোগ্যতা সম্পন্ন প্রার্থীরা প্রাথমিকের চাকরি করছেন তাদের চাকরি বাতিল হবে না। তবে এই সমস্ত প্রার্থীদের ছয় মাসের একটি ব্রিজ কোর্স সম্পন্ন করতে হবে। নির্দেশ অনুযায়ী এক বছরের মধ্যে শিক্ষা দপ্তরের দ্বারা এই ব্রিজ কোর্স সম্পন্ন করার কথা বলা হয়েছে। নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে এই কোর্স সম্পন্ন করতে না পারলে ওই শিক্ষকদের নিয়োগ বাতিল বলে গণ্য করা হবে। অর্থাৎ ওই শিক্ষকদের চাকরির ভবিষ্যৎ নির্ভর করবে এই কোর্সের উপরেই।
নিশানায় ১০ হাজার শিক্ষক
ফলস্বরূপ একদিকে মাধ্যমিক-উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে যেখানে চাকরি বাতিলের ঝড় উঠেছে রাজ্যে অন্যদিকে প্রাথমিক স্তরের শিক্ষকদের জন্য কোর্স পূরণের ঝামেলাও বেশ বেড়েছে। যদিও কাউন্সিল ফর টিচার এডুকেশন অর্থাৎ এনসিটিই জানাচ্ছে, আদালতের রায়ে দেওয়া নির্দেশ পালন করতেই এই কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। জানা গিয়েছে এই কোর্স শুধুমাত্র একবারই করা যাবে। অর্থাৎ একজন প্রার্থী একবারই এই কোর্সের সুযোগ পাবেন। যদি একবার এই কোর্সে অনুত্তীর্ণ হয় তাহলে তাঁকে এই দ্বিতীয়বার আর সুযোগ দেওয়া যাবে না সেক্ষেত্রে তাঁদের নিয়োগও অবৈধ বলে গণ্য করা হবে বলে জানানো হয়েছে। বিএড ডিগ্রি নিয়ে প্রাথমিক স্কুলের চাকরিতে নিযুক্ত অন্তত ১০ হাজার শিক্ষককে ছ’মাসের ব্রিজ কোর্স করতেই হবে। এর আগে হাজার হাজার শিক্ষককে উচ্চ মাধ্যমিকে ৫০ শতাংশ নম্বর সহ উত্তীর্ণ করার জন্য রবীন্দ্র মুক্ত বিদ্যালয় থেকে পরীক্ষার ব্যবস্থা করিয়েছিল রাজ্য সরকার। এরপর আসে ডিএলএড প্রশিক্ষণের বিষয়টি।
আরও পড়ুনঃ চাকরি বাতিলের আবহে নতুন সমস্যায় রাজ্য সরকার! পথে নামলেন পার্শ্বশিক্ষকরা
অন্যদিকে উচ্চ মাধ্যমিকে ৫০ শতাংশ ন্যূনতম নম্বর সহ পাশ করানোর পরে তাঁদের এই প্রশিক্ষণও দেয় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। এর আগে বিএড প্রার্থীদের ছ’মাসের ব্রিজ কোর্স করানোর দায়িত্বও আগে পালন করেছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। এবার সেই দায়িত্ব দেওয়া হতে চলেছে জাতীয় মুক্ত বিদ্যালয় ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ওপেন স্কুলিং বা এনআইওএসকে। বঙ্গীয় প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির শীর্ষনেতা আনন্দ হান্ডা এনসিটিই এই ব্রিজ কোর্স সম্পর্কে জানিয়েছে, ওপেন অ্যান্ড ডিসট্যান্স লার্নিং বা ওডিএল পদ্ধতিতে এটি চালাতে পারবে এনআইওএস। তবে, তার আগে এর জন্য অনুমোদন নিতে হবে এনআইওএসকে। এদিকে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ওপেন স্কুলিং এর পূর্বাঞ্চলীয় অধিকর্তা চঞ্চলকুমার সিং এনআইওএসকের অনুমোদন নিয়ে কোনও বক্তব্য প্রকাশ করেননি। ফলে, কোন সময়ের মধ্যে অনুমোদন গ্রহণের প্রক্রিয়া শেষ করে কোর্স শুরু করা যাবে, তা জানা যায়নি।
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join Hood Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join Hood Rashifal |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |