পদে বহাল, হাইকোর্টে বিরাট জয় শিক্ষাকর্মীদের

Published on:

Kolkata High court

সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: টানা ছয় বছর দীর্ঘ আইনি লড়াই সামাল দিয়ে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কর্মীরা ফিরে পেলেন তাদের ন্যায্য অধিকার। সূত্রের খবর, জুনিয়র হয়ে যাওয়া শিক্ষা কর্মীরা এবার তাদের সিনিয়রিটি ফিরে পেলেন। হাইকোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশে ফিরে এলো বহুকাঙ্খিত দাবিদাওয়ার সমধান, যা এক সময় কর্তৃপক্ষের ভুলেই তাদের কাছ থেকে হারিয়ে গিয়েছিল।

ঘটনার সূত্রপাত কোথায়?

আসলে এই ঘটনার সূত্রপাত হয় 2019 সালে। সে বছর বিশ্ববিদ্যালয়ের 29 জন কর্মীকে পদোন্নতি দিয়ে জুনিয়র সুপার পদে বহাল করা হয়। তাও নাকি আবার 2015 সালে রেট্রোস্পেক্টিভ এফেক্ট দিয়ে। আর এর ফলে 2016-2018 সালে পদোন্নতি পাওয়া বেশ কয়েকজন সিনিয়র শিক্ষা কর্মীরা আচমকাই জুনিয়র হয়ে পড়েন। আর এতেই ক্ষুব্ধ হয়ে তারা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন।

তখন প্রশ্ন উঠেছিল – যারা 1991 থেকে 1995 সালের মধ্যে চাকরিতে যোগদান করেছিলেন, তাদের টপকে কীভাবে 1998 থেকে 2000 সালে যোগ দেওয়া কর্মীরা সিনিয়র পদে পদোন্নতি পান? তাও নাকি 2015 সাল থেকেই জুনিয়র সুপার পদে! এমনকি সেই সমস্ত কর্মীরা পরবর্তী ধাপে 2020 সালে সিনিয়র সুপার পদেও পদোন্নতি পেয়ে যান। আর সে কারণেই সিনিয়র কর্মীরা বঞ্চনার শিকার হয়ে কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন।

সূত্রের খবর, হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর এজলাসে শেষ পর্যন্ত কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ তাদের ভুল স্বীকার করে নিয়ে লিখিতভাবে জানিয়েছিল যে, যাদের সিনিয়ারিটি কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। তাদের 2015 সাল থেকেই জুনিয়র সুপার এবং 2020 সাল থেকে সিনিয়র সুপার পদে আবারও উন্নতি করে দেওয়া হবে।

ইন্ডিয়াহুডের বিশেষ প্রতিবেদন

আরও পড়ুনঃ রাজ্যের কোষাগারে ৪০০০ কোটির ভাটা, কেটে ফেললেও DA দিতে পারব না! বললেন মুখ্যমন্ত্রী

এমনকি মামলাকারীদের তরফে শুভেন্দু মুখোপাধ্যায় বলেছিলেন যে, এই নির্দেশ সম্পূর্ণ সরকারি এবং সরকারের সংস্থার কর্মীদের ক্ষেত্রে সঠিক দৃষ্টান্ত হয়েই থাকবে। তবে এই রায়ের ফলে ন্যায্য অধিকারী ফিরে পেলেন শিক্ষা কর্মীরা, এটাই অনেক। সঙ্গে দীর্ঘদিনের জল্পনারও জয় হলো।

গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্যJoin Group
চাকরির খবরের জন্যJoin Hood Jobs
রাশিফলের জন্যJoin Hood Rashifal
খেলার খবরের জন্যJoin Whatsapp
সঙ্গে থাকুন ➥