৩০ টাকার লটারিতে কোটিপতি, মন্দির বানানোর সিদ্ধান্ত বনগাঁর দরিদ্র সাইকেল মিস্ত্রীর

Published:

A Bicycle mechanic becomes Crorepati by buying only 30 Rupees lottery Tickets
Follow

বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: লটারি (Lottery) কেটে ভাগ্য পরীক্ষা যেন অভ্যাসে পরিণত হয়েছিল! যার কারণে বহুবার স্ত্রীয়ের রোশের মুখে পড়তে হয়েছে বনগাঁর বাসিন্দা বাবলা দাসকে। দিন আনা দিন খাওয়ার সংসারে লটারির জন্য গাদা গুচ্ছের টাকা খরচ করায় পরিবারে প্রায়শই চলতো অশান্তি। এবার সেই লটারিতেই ভাগ্য ফিরল পেশায় সাইকেল মিস্ত্রি বাবলার। লটারি কেটে রাতারাতি কোটিপতি হওয়ায় নতুন করে স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছেন উত্তর 24 পরগনা জেলার বনগাঁর দীনবন্ধুনগরের দাস দম্পতি।

20 বছরের অভ্যাসই বদলে দিল ভাগ্য

বেশ কিছু সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, উত্তর 24 পরগনা জেলার বনগাঁ শহরের দীনবন্ধুনগর এলাকায় বসবাসকারী বাবলা দাস সাইকেল সরানোর কাজ করেন। তা দিয়েই সংসার চলে কোনও মতে। তবে সাইকেল সারানোর পাশাপাশি বাবলার অভ্যেস ছিল লটারি কেটে ভাগ্য পরীক্ষা করে দেখার। সূত্রের খবর, দীর্ঘ কুড়ি বছর ধরে এই একই অভ্যেস অব্যাহত রেখেছিলেন তিনি। শেষ মেষ 2025 সালে এসে ধরা দিল সাফল্য।

জানা গিয়েছে, স্ত্রী উমা দাসের প্রতিদিনের অশান্তি সত্ত্বেও লটারি কাটা চালিয়ে গিয়েছিলেন বাবলা। এবার সেই অভ্যাসই তাঁকে কোটিপতি বানালো। সূত্রের খবর, বনগাঁর একটি স্থানীয় দোকান থেকে 30 টাকা দিয়ে একটি লটারি কিনেছিলেন বাবলা। সন্ধ্যেবেলায় ফল বেরোনোর কথা ছিল।

অন্যান্য দিনের মতো সেদিনও বাজারে গিয়ে লটারির রেজাল্ট মেলাচ্ছিলেন এমন সময় কোটি টাকাআরও অঙ্কের সাথে লটারির সংখ্যা মেলে যেতেই চোখ কপালে ওঠে বাবলা দাসের। তড়িঘড়ি ছুটে গিয়ে স্ত্রীকে জানান কোটি টাকা পুরস্কার ফেসছে তাঁর। সব মিলিয়ে, নুন আনতে পান্তা ফুরোনো সংসারে আশার আলো জুগিয়েছে কোটি টাকার পুরস্কার।

কোটি টাকা দিয়ে ঠিক কী করবেন দম্পতি?

জানা গিয়েছে, শুরু থেকেই আর্থিক অনটনের সঙ্গে লড়াই করতে করতে একটা সময় দারিদ্র্যতাকে নিজের করে ফেলেছিলেন বাবলা দাসের স্ত্রী উমা। তবে প্রতিমুহূর্তে ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করতেন পরিস্থিতি বদলের। দম্পতির দাবি, শুধুমাত্র ঈশ্বরের কৃপাতেই তাঁদের অভাবের সংসারে লক্ষ্মীলাভ হয়েছে।

অবশ্যই পড়ুন: বৃষ্টির কারণে ভেস্তে যাবে ভারত-নিউজিল্যান্ডের ফাইনাল! খেলা না হলে ট্রফি জিতবে কোন দল?

আর সেই কারণেই প্রাপ্য অর্থ দিয়ে সবার প্রথমে মায়ের মন্দির পাকা করবেন বলেই জানিয়েছেন বনগাঁর লটারি বিজেতা বাবলা দাস ও তাঁর স্ত্রী। বাকি অর্থ দিয়ে নিজের অবশিষ্ট জীবন টুকু হেসে খেলে কাটাতে চান দুজনেই। তবে লটারি প্রাপক বাবলা জানিয়েছেন, তিনি তাঁর পেশা অর্থাৎ সাইকেল সারানোর কাজ ছাড়বেন না।

গুরুত্বপূর্ণ
Join
চাকরির খবর
Join
রাশিফল
Join
খেলার খবর
Join