প্রীতি পোদ্দার: বিগত বেশ কয়েক বছরে রাজ্যে একাধিক আইন বিরুদ্ধ কাজে বারংবার নাম উঠে এসেছে সিভিক ভলান্টিয়ারদের। তার উপর চলতি বছর আরজি কর কাণ্ডে ঘটে যাওয়া সেই ভয়ংকর ঘটনা বড় প্রভাব পড়ে সকলের মনে। ইতিমধ্যেই দ্বিতীয় বর্ষের সেই তরুণী চিকিৎসক এর মৃত্যু এবং ধর্ষণ কাণ্ডে গ্রেফতার করা হয়েছে সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রাইকে। কিন্তু সেই ক্ষত কাটতে না কাটতেই আউশগ্রামের এক সিভিক ভলান্টিয়ারের বিরুদ্ধে উঠে এল শ্লীলতাহানীর অভিযোগ।
ঘটনাটি কী?
সূত্রের খবর, ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামের বেরেণ্ডা গ্রামে। আসলে বিশেষ একটি কারণে দুটি পরিবারের মধ্যে ঝামেলার জেরে গ্রামের কয়েকজন মিলে সালিশিসভা বসিয়েছিলেন। আর ওই গ্রামেরই বাসিন্দা ছিলেন অভিযুক্ত সিভিক ভলেন্টিয়ার রহমতুল্লাহ শেখ। তিনি সালিশিসভা বসার খবর পেয়ে তৎক্ষণাৎ সেখানে উপস্থিত হয়ে জনসমক্ষে জানান, পুলিশের নির্দেশ অনুযায়ী কোনও সালিশিসভা করা যাবে না। এই বলে রহমতুল্লা নিজের কাজে চলে যান।
কিন্তু সেইদিনই রাতে ওই এলাকার স্থানীয় আদিবাসী ওই বধূ আউশগ্রাম থানায় গিয়ে রহমতুল্লা শেখের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ জানায়। তাঁর অভিযোগ, রহমতুল্লা শেখ বেশ কয়েকদিন ধরেই নাকি তাঁর উপর কুনজর দিত। কিন্তু গতকাল অর্থাৎ শুক্রবার বাড়িতে যখন কেউ ছিল না তখন ঐ বধূ উঠোনে তক্তার উপর শুয়ে ছিলেন। সেসময় একা থাকার সুযোগ নিয়ে রহমতুল্লা তাঁর শ্লীলতাহানি করে।
মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ
ঘটনার তদন্ত করতে পুলিশ সঙ্গে সঙ্গে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে। তবে এই ভয়ংকর অভিযোগ অস্বীকার করে চলেছে অভিযুক্ত সিভিক ভলেন্টিয়ার। তাঁর দাবি ওই পাড়ায় বেআইনি চোলাইমদের কারবার চলে। নিষেধ করায় বচসা হয়। আর তাই এই মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে তাঁকে। এমনকি স্থানীয়দের একাংশের দাবি ওই সিভিক ভলেন্টিয়ারকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে।