প্রীতি পোদ্দার, কুলতলি: আরজি কর কাণ্ডে তিলোত্তমার বিচার এখনও অধরা। প্রায় ৩ মাসের মাথায় এসে গেল। এখনও পর্যন্ত সঞ্জয় রাই ছাড়া কাউকেই গ্রেফতার করতে পারেনি CBI। আর এই পরিস্থিতিতে বাংলায় একের পর এক ধর্ষণের ঘটনা ঘটেই চলেছে রাজ্যে। সম্প্রতি এক মূক ও বধির মহিলাকে পরিত্যক্ত বাড়িতে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল প্রতিবেশী যুবকের বিরুদ্ধে।
ঘটনাটি কী?
সূত্রের খবর, গত মঙ্গলবার দুপুরে দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতলিতে ঘটনাটি ঘটেছে। নির্যাতিতা ছিলেন মূক এবং বধির। তাঁর পরিবারের দাবি মাঝেমধ্যেই বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়তেন ওই মহিলা। একা একা বাড়ির আশপাশে ঘোরাঘুরি করতেন। মঙ্গলবার দুপুরেও রোজকার মতো একা বেরিয়ে ছিলেন ওই মহিলা। আর সেই সুযোগ নিয়ে বাড়ির কাছেই একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে নিয়ে গিয়ে প্রতিবেশী এক যুবক ধর্ষণ করে ওই মূক ও বধির মহিলাকে। অনেকটা সময় পার হয়ে যাওয়ার পর ওই মহিলা বাড়ি না ফেরায় খোঁজাখুঁজি শুরু করে নির্যাতিতার পরিবার।
সঙ্গে সঙ্গে গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্তকে
জানা যায় খোঁজ করতে করতে তখনই ওই নির্যাতিতার পরিবার সেই পোড়ো বাড়িতে যান এবং ওখানেই তাঁর খোঁজ মেলে। আর ঘটনাস্থলে অভিযুক্ত যুবককেও দেখে ফেলেন নির্যাতিতার পরিজনেরা। দ্রুত তাঁরা অন্য প্রতিবেশীদেরও ডেকে আনেন। এর পরেই গতকাল অর্থাৎ বুধবার কুলতলি থানায় যুবকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে নির্যাতিতার পরিবার। আর ঠিক পরমুহুর্তেই মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার, ধৃতকে বারুইপুর মহকুমা আদালতে পেশ করা হবে। এই বিষয়ে বারুইপুরের এসডিপিও অতীশ বিশ্বাস জানান, ‘‘অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ঘটনায় মূল অভিযুক্তকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে৷ তদন্ত চলছে।’’
এদিকে সেদিনের ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। পরিস্থিতি সামাল দিতে দ্রুত পৌঁছন স্থানীয় তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য প্রহ্লাদ নস্কর। আর অভিযোগ ওঠে সেখানে পৌঁছে তিনি নাকি নির্যাতিতার পরিবারকে ২ লক্ষ টাকার বিনিময়ে বিষয়টি মিটিয়ে নেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন। যদিও যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন প্রহ্লাদ। তিনি জানিয়েছেন, খবর পেয়ে যখন তিনি ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন, সেই সময় নির্যাতিতার পরিবারের কেউ ঘটনাস্থলে ছিলেন না।