প্রীতি পোদ্দার: আরজি করের ঘটনায় এখনও উত্তাল গোটা রাজ্য রাজনীতি। এখনও মেলেনি সুবিচার। তাই এখনও রাজপথে নামছেন আন্দোলনকারীরা। সেই আন্দোলনে সাধারণ মানুষ তো বটেই, বিভিন্ন পেশার ব্যক্তিরাও আন্দোলনে যোগদান করছেন। দাবি এক দফা এক তিলোত্তমার বিচার চাই। কিন্তু এত লড়াই এত আন্দোলনের মাঝেও নারীরা এখনও সুরক্ষিত নয়। একের পর এক নারী নির্যাতনের অভিযোগ উঠেই আসছে। সম্প্রতি এক মহিলা আইনজীবীর সঙ্গে ঘটে গেল এক ভয়ংকর ঘটনা।
ঘটনাটি কী?
জানা গিয়েছে, গতকাল অর্থাৎ সোমবার বেলা পৌনে এগারোটা নাগাদ হাইকোর্টের সি বিল্ডিংয়ের লিফটে ছিলেন এক মহিলা আইনজীবী। ঠিক সেই সময় এক চতুর্থ শ্রেণির কর্মী মহিলাকে লিফটে একা পেয়ে তাঁর শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেন। এরপর সেই নির্যাতিতা আইনজীবী লিফট থেকে বেরিয়ে এসে তাঁর সহকর্মীদের খবর দেন। বিষয়টি জানতে পেরে সহকর্মীরা অভিযুক্তকে এজলাস থেকে ডেকে বাইরে আনেন। তখনই চর থাপ্পড় মারেন সেখানকর উপস্থিত উত্তেজিত জনতারা। আর সিনিয়র আইনজীবীরা সঙ্গে সঙ্গে হেয়ার স্ট্রিট থানায় খবর দেয়।
ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ!
এছাড়াও নির্যাতিতার আরও অভিযোগ যে, এর আগেও বিভিন্ন সময়ে মামলা বিচারের তালিকায় আগে তুলে দেওয়ার টোপ দিয়ে অভিযুক্ত ঘনিষ্ঠ হওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু তাঁকে তখন সতর্ক করেন তরুণী। এরপর এদিন তাঁকে লিফটে পেয়ে অসভ্যতা করলে তরুণী থানায় গিয়ে শ্লীলতাহানির অভিযোগে FIR করেছে। অভিযোগ পাওয়ার পরেই তদন্তে নেমেছে হেয়ারস্ট্রিট থানার পুলিশ। এবং এর পরিপ্রেক্ষিতে অভিযুক্তকে নোটিশ দেওয়া হবে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।
অন্যদিকে এইদিন আবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার নরেন্দ্রপুরেও দিনেদুপুরে প্রকাশ্য রাস্তায় হাইকোর্টের এক মহিলা আইনজীবীর শ্লীলতাহানি করার অভিযোগ উঠে এসেছে। জানা গিয়েছে, মহিলা তাঁর স্বামীর সঙ্গে বাইকে করে যাচ্ছিলেন। কিন্তু মাঝপথে পেট্রোল শেষ হয়ে যাওয়ায় পেট্রোল পাম্পের দিকে গেলে সেখানকার কয়েকজন যুবক ওই ওই মহিলার ছবি তোলে এবং অশ্লীল ইঙ্গিত করে। তাঁর স্বামী প্রতিবাদ করলে অভিযুক্তরা গালিগালাজ করে এবং আইনজীবীর শ্লীলতাহানি করে। পুলিশের কাছে অভিযোগ জানানো হলে পুলিশ কয়জনকে গ্রেফতার করেছে।