প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: উত্তাল অবস্থা বাংলাদেশে (Bangladesh)। সেখানকার সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর চলছে অকথ্য অত্যাচার। কিছুতেই থামছে না ক্ষোভ, হিংসা এবং রাগ। আর এদিকে ওপারের হিন্দুদের রক্ষার্থে মরিয়া হয়ে উঠেছে ভারত সহ একাধিক রাষ্ট্র। যার ফলে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কে কিছুটা টালমাটাল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এই আবহে আবার ভারতে আগরতলার দিকে আক্রমণ হানাচ্ছে বিএনপি নেতা। জানা গিয়েছে আজ দুপুর ২ টোয় ঢাকা থেকে ভারতের আগরতলার দিকে বিএনপির তিনটি অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের তরফ থেকে শুরু হবে লং মার্চ কর্মসূচি।
৩০ থেকে ৪০ হাজার লোকের সমাগম
বিশেষ সূত্র মাধ্যম জানা গিয়েছে, আগরতলার দিকে লং মার্চে ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে আজ অর্থাৎ বুধবার দুপুর ২ টো নাগাদ অন্তত দুই হাজার গাড়ির মিছিল আসবে। এই লংমার্চে থাকছে বিএনপির তিন সংগঠন। যুব-ছাত্র ও স্বেচ্ছাসেবক। তবে কর্মসূচিতে সরাসরি নেই বিএনপির মূল সংগঠন। নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদি হয়ে সন্ধে নাগাদ আখাউড়ায় পৌঁছবে লংমার্চটি। এরপর স্থলবন্দর এলাকায় সমাবেশ করা হবে। এই সমাবেশে ৩০ থেকে ৪০ হাজার লোক সমাগমের ধারণা করা হচ্ছে। সে অনুযায়ী প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।
কী বলছেন বিএনপি নেতা রহুল রিজভি?
জানা গিয়েছে, লং মার্চকে কেন্দ্র করে আজ দুপুরের মধ্যে পণ্য রপ্তানি করা হবে বলে জানিয়েছেন আখাউড়া স্থলবন্দরের ব্যবসায়ীরা। বিশেষ করে দুপুর ১২ টার মধ্যে মাছ রপ্তানির শেষ করার চিন্তা করছেন তারা। তবে যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক থাকবে বলেই জানা গিয়েছে। বিএনপি নেতা রহুল রিজভি লংমার্চ প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, “রক্ত দিয়ে স্বাধীনতা কিনেছি। ওই স্বাধীনতা আবার বিক্রি করে দেব? আমরা দিল্লির কাছে আত্মসমর্পণ করব না।” লং মার্চ ঘিরে বিশৃঙ্খলা রোধে কাজ শুরু করেছে প্রশাসন। পুলিস, বিজিবি, র্যাবসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীও পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে।
এর আগে কলকাতা দখল করার কথা শোনা গিয়েছিল তাঁদের মুখে। এরপর বাংলা-বিহার-ওড়িশা দখল করবে বলেও একের পর হুংকার দিয়েছিল সে দেশের নেতারা। এমনকী কট্টরপন্থী ছাত্র সংগঠনও হুমকি দিয়ে বলেছিল সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের কথা। বারংবার এ দেশের সম্মানহানি করেছেন বাংলাদেশি একাংশ নেতারা। রীতিমত এই বিষয়টি নিয়ে মজা করছে ভারতের লোকেরা। কিন্তু এখনও পর্যন্ত ভারতের তরফে কোনও রকম উস্কানিমূলক মন্তব্য করা হয়নি সেদেশের উদ্দেশে।