সহেলি মিত্র, কলকাতাঃ পুজোর মুখে যত কাণ্ড বিরিয়ানি নিয়ে। শুধুমাত্র বিরিয়ানি খেয়ে যে কারোর মৃত্যু হতে পারে কেউ হয়তো ভাবতেও পারবেন না। এমনই ঘটনা ঘটেছে পশ্চিমবঙ্গে, যেখানে অফিসে বিরিয়ানি খেয়ে এক ব্যক্তি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছেন। সবথেকে আশ্চর্যের বিষয়, ওই একই বিরিয়ানি বাকিরাও খেয়েছিলেন, কিন্তু সবাই সুস্থ আছেন। ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের পূর্বস্থলী বি এল আরও অফিসে (Purbasthali BLRO)।
বিরিয়ানি খেয়ে মৃত্যু ব্যক্তির
পুজোর সময়ে প্যান্ডেল হপিং, আড্ডা, খাওয়াদাওয়া হবেই। আর পুজোর সময়ে বিরিয়ানি খাওয়া তো মাস্ট অনেকের কাছে। ঠিক সেই পুজোর আনন্দেই বৃহস্পতিবার বিকেলে পূর্বস্থলী ১ নম্বর বি এল আরও অফিসে প্রায় ২৫ প্যাকেট বিরিয়ানি আনা হয় বলে সূত্রের খবর। তবে ওই বিরিয়ানি খেয়ে এক মুহুরির মৃত্যু হয়। মৃতের নাম সুমন্ত মল্লিক। অপর এক রেভিনিউ অফিসার বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। সুমন্তর মৃত্যুতে একটি প্রশ্ন বারবার উঠে আসছে, আর সেটা হল একই বিরিয়ানি খেয়ে বাকিরা অসুস্থ নয় কেন।
এদিকে মৃত সুমন্তর পরিবারের তরফে গুরুতর অভিযোগ আনা হয়েছে। পরিবারের অভিযোগ, পরিকল্পনা করেই সুমন্তকে খুন করা হয়েছে। বিরিয়ানির মধ্যে বিষ দেওয়া হয়েছিল। স্বাভাবিকভাবেই এহেন ঘটনাকে ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে সর্বত্র। প্রশ্ন উঠছে, আদৌ কারোর হাতের আর বিরিয়ানি খাওয়া সুরক্ষিত তো?
অসুস্থ আরও ১
সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার পূর্বস্থলী এক নম্বর বিএলআরও অফিসের স্টাফ ও মুহুরিদের নিয়ে পিকনিক ছিল। এরপর বিরিয়ানি খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন মুহুরি সুমন্ত মল্লিক ও রেভিনিউ অফিসার কুন্তল মাঝি। তড়িঘড়ি অসুস্থ অবস্থায় দু’জনকেই নিয়ে আসা হয় কালনা মহকুমা হাসপাতালে। তবে দুজনের মধ্যে একজনকে বাঁচানো যায়নি। চিকিৎসাকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন মুহুরি সুমন্ত মল্লিককে। অপরদিকে গুরুতর অসুস্থ রেভিনিউ অফিসারকে নিয়ে যাওয়া হয় বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে। আপাতত সেখানেই চিকিৎসাধীন তিনি।
মৃতের পরিবারের বক্তব্য, সুমন্ত সুস্থ ছিল। পিকনিকের জন্য তাঁকে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। বিরিয়ানি খাওয়ার পরই মুখ দিয়ে গ্যাঁজলা বেরতে শুরু করে। কিছুক্ষণের মধ্যে সুমন্তর মৃত্যু হয়। মৃতের পরিবারের অভিযোগ, সুমন্তর খাবারের বিষ মেশানো হয়েছিল। না হলে যাঁরা বিরিয়ানি খেয়েছিলেন, সবাই অসুস্থ হতেন। মোট ৪০ জন বিরিয়ানি খেয়েছিলেন।