প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: প্রতি বছরের মতো বর্ষার সময় রীতিমত কঙ্কালসার চেহারায় পরিণত হয় কলকাতার (Kolkata) বেশ কিছু রাস্তার। সে কারণেই বর্ষার সময় যেই রাস্তায় আধ ঘণ্টায় যাওয়া যায় সেখানে জল জমে থাকার কারণে তার থেকে বেশি ১৫-২৫ মিনিট সময় লাগছে। রাস্তায় বেশ কয়েকটি বড় বড় গর্ত থাকার কারণে ঘটছে নানা দুর্ঘটনাও। যার মধ্যে অন্যতম হল বেহালার মহাত্মা গান্ধী রোড। এবার এই পরিস্থিতির হাত থেকে রক্ষা পেতে পুরসভা সড়ক বিভাগের তরফ থেকে নয়া উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
পুরসভা সড়ক বিভাগের তরফ থেকে নয়া পদক্ষেপ
জানা গিয়েছে, বেহালায় মহাত্মা গান্ধী রোড থেকে মতিলাল গুপ্ত রোড পর্যন্ত প্রায় সাড়ে তিন কিলোমিটার নতুন চওড়া রাস্তা বানানোর উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। যার জন্য পুরসভার কোষাগার থেকে খরচ হতে চলেছে ৬ কোটি ৪৭ লক্ষ টাকার বেশি। আশা করা যাচ্ছে এই দীর্ঘ নতুন চওড়া রাস্তা তৈরি হয়ে গেলে বড়িশা থেকে খুব কম সময়ে ও সহজেই ঠাকুরপুকুর এবং জোকাতেও যাওয়া যাবে। মহাত্মা গান্ধী রোড এবং চড়িয়াল খালের সংযোগস্থলে একটি নতুন নিকাশি পাম্পিং স্টেশন তৈরি হয়েছে। জানা গিয়েছে, সেখান থেকে সোজা মতিলাল গুপ্ত রোড পর্যন্ত খাল পাড়ে থাকা সরু রাস্তার বদলে গোটা এলাকা জুড়ে তৈরি হতে চলেছে প্রায় ২৫ ফুট চওড়া পথ। যার ফলে এলাকার নানাবিধ সমস্যা চুটকিতেই মিটে যাবে।
নতুন রাস্তা প্রসঙ্গে কী বলছেন স্থানীয়রা?
এদিকে নতুন চওড়া রাস্তা নির্মাণ প্রসঙ্গে সেখানকার স্থানীয় বাসিন্দা অমল চক্রবর্তী জানান যে, খালটার অবস্থা খুবই খারাপ ছিল। বৃষ্টি হলেই সেখানকার জল রাস্তায় উঠে আসত। এবং এখানে প্রচণ্ড জল জমে। সেই সমস্যা আশা করছি মিটবে। ইতিমধ্যেই রাস্তা চওড়া করার কাজ চলছে। শোনা যাচ্ছে এলাকায় একটা নতুন রাস্তা তৈরি হবে। এখন শুধুমাত্র হেঁটে, সাইকেলে কিংবা ছোট গাড়িতে করে যেতে হত। তবে ভবিষ্যৎ এ রাস্তা চওড়া হয়ে গেলে অটো বা বড় গাড়ি অনায়াসেই যাতায়াত করতে পারবে। নতুন বাস রুটও চালু হওয়ার সম্ভাবনা থাকছে এখানে।
অন্যদিকে পুরসভা সড়ক বিভাগ এর তরফ থেকে জানা গিয়েছে, এখন সেখানে ভূগর্ভস্থ জলের পাইপলাইন বসানোর পরিকল্পনা চলছে। খুব শীঘ্রই পাইপলাইন বসানোর কাজ শুরু হবে। তারপর তৈরি হবে গোটা রাস্তা এবং ফুটপাত। রাস্তার ধারে সুবজায়ন হবে। তৈরি হবে পার্ক। চেয়ারম্যান সুদীপ পোল্লে জানান এই পথে এরপর বাস-অটো রুটও যদি চালু হয়ে যায়, তখন মানুষের যাতায়াতও আর সুগম হবে। জমা জলের সমস্যাও পুরোপুরি মিটে যাবে।