আরজি করের পর বাঁকুড়া, জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে নাবালিকাকে গণধর্ষণ! গ্রেফতার চার

Published on:

bankura minor girl gangrape

বাঁকুড়াঃ একদিকে যখন আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে বাংলা তথা সমগ্র দেশ জুড়ে রীতিমতো বিক্ষোভের ঝড় বয়ে গিয়েছে। জায়গায় জায়গায় চলছে বিক্ষোভ প্রতিবাদ। এরই মাঝে বাংলায় আরো এক নক্কারজনক ঘটনা ঘটে গেল। বিগত কয়েকদিন আগেই বীরভূমে এক গৃহবধূকে শাসকদলের নেতার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল। তবে এবার বাঁকুড়ায় এক নাবালিকা ছাত্রীকে ধর্ষণে অভিযোগ ঘিরে সরগরম হয়ে উঠল বাংলা। সম্প্রতি আসামে এক নাবালিকা ছাত্রীকে গণধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ উঠেছিল। তবে এবার সেই ঘটনার ছায়া যেন বাংলাতেও পড়তে দেখা গেল।

ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ

WhatsApp Community Join Now

বাঁকুড়া এবার এক অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ ঘিরে সরবরাম হয়ে উঠেছে বাংলা। এ যেন ঘটনা নতুন করে যেন চোখে আঙুল দিয়ে বুঝিয়ে দিল বাংলায় আদৌ আর সুরক্ষিত আছে কি মেয়েরা? যাইহোক ইতিমধ্যে এই ঘটনায় পুলিশ চারজনকে গ্রেফতার অবধি করেছে বলে খবর। গতকাল রবিবার ধৃতদের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে বাঁকুড়া জেলা আদালত। অভিযুক্তরা হল সুধীর মুর্ম্মু, অবিনাশ হাঁসদা, সুশান্ত হাঁসদা ও লক্ষীকান্ত হাঁসদা। সবথেকে বড় কথা, সকলের বয়স ২১ থেকে ২৮ বছরে মধ্যে।

কী ঘটেছিল?

পুলিশ যা তথ্য দিয়েছে তা শুনে রীতিমতো সকলের চোখ কপালে উঠেছে। পুলিশ সূত্রে খবর, বাঁকুড়ার সিমলাপাল এলাকার একটি গ্রামের ছাত্রীটি তালডাংরা থানা এলাকার একটি স্কুলের হোস্টেলে থেকে পড়াশুনা করছিল। এরপর কয়েকদিন আগে সে ওন্দার একটি গ্রামে পিসির বাড়িতে গিয়েছিল। কিন্তু গত ২০ আগস্ট বিকেলে বেড়াতে গিয়েছিল ওই স্কুল পড়ুয়া। অভিযোগ, সেই সময়ে গ্রাম থেকে ১ কিলোমিটার দূরে নাকাইজুড়ির আমবাড়ির জঙ্গলে টেনে নিয়ে যায় অভিযুক্তরা। সেখানেই তাঁকে গণধর্ষণ করে বলে অভিযোগ।

এরপর আহত অবস্থায় নির্যাতিতা পরে বাড়ি ফিরে বিষয়টি গোটা ঘটনার বিষয়টি পিসিকে জানায়। এরপরেই আর কোনো দেরি না করে ওন্দা থানায় গণধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন পড়ুয়ার আত্মীয়রা। পুলিশ পকসো আইনে মামলা রুজু করে অভিযুক্ত চার জনকে গ্রেফতার করে। ঘটনা প্রসঙ্গে ছাত্রীর বাবা ও পিসি কথায়, “তিনজন মিলে মেয়েকে ধর্ষণ করেছে, একজন ঘটনাস্থলের কাছাকাছি ছিল। বিষয়টি জানতে পেরে গত ২৩ তারিখ থানায় অভিযোগ করেছিলাম।” যদিও এহেন ঘটনার খবর প্রকাশ্যে আসার পর ব্যাপক শোরগোল পড়ে গিয়েছে সর্বত্র। মেয়েদের নিরাপত্তা কোথায়? সেই নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

সঙ্গে থাকুন ➥