নবান্নই নজর রাখবে গোটা রাজ্যে, ২০২৬-র বিধানসভা নির্বাচনের আগে বড় চমক

Published on:

nabanna

প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: রাজ্যে অনবরত একের পর এক দুর্ঘটনা, ক্রাইম ইত্যাদি নানা ঘটনা ঘটেই চলেছে। দিন যত এগোচ্ছে ততই বাড়ছে এইরূপ দুর্ঘটনার সংখ্যা। সেক্ষেত্রে কোনো ঘটনার তদন্ত করতে হলে দরকার পরে সিসিটিভি ফুটেজে। রাজ্যের কোনও জায়গায় কোনও দুর্ঘটনা বা কোনো গোলমালের ঘটনা ঘটলে তদন্তের স্বার্থে সংশ্লিষ্ট এলাকার সিসিটিভির উপর ভরসা করে পুলিশ।

রাজ্যের শৃঙ্খলা বজায় রাখতে নয়া পদক্ষেপ নবান্নের!

WhatsApp Community Join Now

সবটাই মূলত জেলা পুলিশ থেকে ‘মনিটরিং’ করা হয়ে থাকে। আবার কোনও ঘটনার প্রেক্ষিতে যদি জেলা পুলিশের কাছ থেকে রাজ্য পুলিশের কর্তারা রিপোর্ট চান, তখনও প্রমাণের স্বার্থে সিসিটিভি ফুটেজের উপর জোর দেওয়া হয়। তবে এ বার থেকে মনিটরিং এর জন্য জেলা পুলিশের ওপর অপেক্ষা করবে না নবান্ন। তার কারণ এবার এক কক্ষে থেকেই রাজ্যের সকল কর্মকাণ্ডের সরাসরি নজরদারি করার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এমনটাই জানা গিয়েছে পুলিশ এবং নবান্ন সূত্রে।

ডিজি কন্ট্রোল রুমে শুরু হয়েছে ‘মনিটরিং সেল’ তৈরির কাজ!

প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০২৬ সালের বিধানসভা ভোটের আগেই রাজ্যের বিভিন্ন জেলা এবং এলাকায় কড়া নজরদারি রাখার জন্য নবান্নের পাশে এক ‘বিশেষ কক্ষ’ খোলা হবে। যার ফলে একজায়গায় বসে রাজ্যের প্রতিটি এলাকায় লাগানো সিসিটিভি ফুটেজের মাধ্যমে ঘটে যাওয়া নানা ঘটনাগুলি পর্যবেক্ষণ করা যাবে। এবং সারা বাংলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উপর আরও ভাল করে নজরদারি চালানো যাবে। মূলত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিকল্পনায় এবং রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমারের তত্ত্বাবধানে নবান্নের অদূরে ডিজি কন্ট্রোল রুমে শুরু হয়েছে ‘মনিটরিং সেল’ তৈরির কাজ। জানা যাচ্ছে, ওয়েবেল-সহ তিনটি সরকারি এবং বেসরকারি সংস্থা ‘বিশেষ ঘর’ গড়ার কাজ শুরু করে দিয়েছে।

এই প্রসঙ্গে, রাজ্য পুলিশের এক পদস্থ কর্তা জানিয়েছেন, ‘‘চুরি-ডাকাতি-সহ যে কোনও অপরাধের ঘটনা ঘটলে সেখানকার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করে পুলিশ। জেলা পুলিশ তার পরিচালনার দায়িত্বে থাকে। যেমন, হাওড়া গ্রামীণে কোনও ঘটনা ঘটলে সেখানকার জেলা পুলিশ তা ‘মনিটর’ করে। তবে এ বার আরও শক্তিশালী করা হচ্ছে পুরো ব্যবস্থাকে। যাতে কোনো অপরাধই আর নিয়ন্ত্রণের হাত থেকে বেরিয়ে না যায়।’’

সঙ্গে থাকুন ➥
X