বর্তমান সময়ে সমগ্র দেশজুড়ে এমন বেশ কিছু প্রকল্প চলছে যেখানে আবেদন করলেই অনেক সময় আর্থিক সাহায্য মেলে। মূলত সাধারণ মানুষের কল্যাণে কেন্দ্রীয় সরকার থেকে শুরু করে বিভিন্ন রাজ্য সরকার নানা রকমের প্রকল্প চালাচ্ছে। ছোট থেকে শুরু করে বৃদ্ধ বয়স অবধি…সকলের জন্যই কিছু না কিছু রয়েছে। তবে এখন একটি প্রকল্প নিয়ে সর্বত্র অনেক আলোচনা হয়, আর সেটা হল পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফে পরিচালিত ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ প্রকল্প।
এই প্রকল্পের দরুণ বাংলার মহিলারা ১০০০ টাকা থেকে শুরু করে ১২০০ টাকা অবধি আর্থিক সাহায্য পেয়ে যান। তবে এসব অতীত, এবার সকলকে ২৫,০০০ টাকা করে দেওয়ার ঘোষণা করলেন শাসক দলের বিধায়ক। আর তিনি হলেন বরানগরের বিধায়ক সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন। লোকসভা, বিধানসভা উপ নির্বাচন মিটতে না মিটতেই তৃণমূল বিধায়কের এহেন ঘোষণাকে কেন্দ্র করে সর্বত্র শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
২৫,০০০ টাকা দেওয়ার ঘোষণা সায়ন্তিকার
এখন আপনিও নিশ্চয়ই ভাবছেন যে এই টাকা কি কোনও প্রকল্পের দরুণ মিলবে? উত্তর হল না। আসলে সবুজায়নের ওপর জোর দিতে বড়সড় ঘোষণা করে সাড়া ফেলে দিয়েছেন বিধায়ক সায়ন্তিকা। আদতে গাছ বাঁচালেই বিধায়ক দেবেন ২৫,০০০ টাকা অবধি। ইতিমধ্যে বরানগরের ৩টি ক্লাবকে ২৫,০০০ টাকা পুরস্কার দিয়েছেন তিনি।
গাছ লাগালেই মিলবে বিপুল টাকা
বিধায়ক ঘোষণা করেছেন, বছরভর গাছের পরিচর্যা করলেই দেওয়া হবে পুরস্কার। আগামী ২৭ শে জুলাই বরানগর বিধানসভার অন্তর্গত ক্লাবগুলিকে পাঁচটি করে গাছ দেওয়া হবে। এক বছরের মাথায় বৃক্ষ বিষয়ক বিশেষজ্ঞ দ্বারা প্রদানকারী গাছের অবস্থা দেখে এবং পরিচর্চার ভিত্তিতে সেরা তিনটি ক্লাবকে পুরস্কার প্রদান করা হবে। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিধায়ক সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “যেভাবে উষ্ণতা বাড়ছে, পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে, তা অত্যন্ত উদ্বেগের। এই কারণেই আমরা সবুজায়নের লক্ষ্যে এই উদ্যোগ নিয়েছি। প্রতিটি ওয়ার্ড এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারে। আমরা প্রতিটি ক্লাবকে ৫টি করে গাছ দিচ্ছি। স্কুল, কলেজ, আবাসন- প্রয়োজন বুঝে যেখানে পছন্দ গাছ লাগানো যেতে পারে। এক বছর পর আমরা ইন্সপেকশন করব। যারা সবথেকে ভাল গাছের পরিচর্যা করবে, রক্ষণাবেক্ষণ করবে, তাদের পুরস্কৃত করা হবে।”