৫০ বছর পর কলকাতায় ফিরছে এই বিশেষ ট্রাম, বিরাট উদ্যোগ রাজ্য সরকারের

Published on:

শ্বেতা মিত্র, কলকাতা: এক সময়ে কলকাতার বুক চিড়ে ছুটে চলা ট্রামকে (Kolkata Trams) নিয়ে কাটা ছেঁড়ার শেষ নেই। কলকাতা শহরের এই ঐতিহ্যকে টিকিয়ে রাখতে চলছে একের পর এক আন্দোলন। যদিও আপাতত এই ট্রাম পরিষেবা বন্ধ রয়েছে সরকারের সিদ্ধান্তের পর। তবে এরই মাঝে এই ট্রাম পরিষেবাকে ঘিরে প্রকাশ্যে উঠে এল বড় তথ্য। যা শুনলে আপনারও মন খুশি হয়ে যাবেন বৈকি। এমনিতেই কলকাতার ট্রাম বাঁচাতে বিভিন্ন ট্রাম ডিপোর সামনে সভা, মিছিল, রাজপথে নেমে গণস্বাক্ষর সংগ্রহ করা হচ্ছে। আগামী দিনে ফের এই ট্রামকে শহরের রাস্তায় চলতে দেখা যাবে কিনা সেই নিয়েও এখন ধন্ধে রয়েছেন সকলে। তবে এখন জানা যাচ্ছে, দীর্ঘ ৫০ বছর পর এক বিশেষ ট্রাম নাকি ফিরছে কলকাতায়। হ্যাঁ একদম ঠিক শুনেছেন।

আমাদের সাথে যুক্ত হন Join Now

৫০ বছর ফিরছে এই ট্রাম

এখন আপনিও নিশ্চয়ই ভাবছেন ঠিক কী ধরণের ট্রাম ফিরছে কলকাতা শহরে? তাহলে জানিয়ে রাখি, এক বগির ট্রাম ফিরছে। হ্যাঁ একদম ঠিক শুনেছেন। এদিকে এই খবর চাউর হতেই খুশির হাওয়া বইছে সকলের মধ্যে। বিশেষ করে পুরনো সময়ের মানুষের মধ্যে। তাঁরা ফের একবার ফিরে দেখতে চলেছেন এক আলাদাই নস্টালজিয়া। যতদূর জানা গিয়েছে, আপাতত ময়দানের পথ ধরে একে বেঁকে চলবে এক বগি, দুই ইঞ্জিনের ট্রাম। ইতিমধ্যেই নাকি নোনাপুকুরের আশেপাশে দেখা গিয়েছে দু’ইঞ্জিনের ট্রাম। এদিকে এহেন ট্রাম দেখে খুশি ৮ থেকে ৮০ সকলেই। নতুন প্রজন্মের কাছে এই ধরণের ট্রাম একদমই নতুন।

দুমুখো ট্রামের ইতিহাস

এই ট্রামকে আবার অনেকে দুমুখো ট্রামও বলা হয়ে থাকে। অবশ্য এই ট্রাম সম্পর্কে জানতে হলে ফিরে দেখতে হবে কিছুটা ইতিহাস। জানলে অবাক হবেন, ১৯০৭ সাল নাগাদ হাওড়া মিউনিসিপ্যালিটি কলকাতার ট্রাম কোম্পানিকে ট্রাম লাইন পাতার অনুমতি দেয়। হাওড়ার ট্রাম লাইন উত্তর ও দক্ষিণে বিভক্ত ছিল। উত্তরে দু’টি ট্রাম লাইন ছিল ৷ একটি ছিল হাওড়া ব্রিজ থেকে সালকিয়া বাঁধাঘাট রোড পর্যন্ত এবং অপরটি ছিল ঘুসুড়ি রোড পর্যন্ত। আর একটি ছিল পূর্ব গোলাবাড়ি রোড পর্যন্ত। পাশাপাশি, দক্ষিণের ট্রাম লাইন ছিল হাওড়া ব্রিজ থেকে বাকল্যান্ড ব্রিজের ওপর দিয়ে হাওড়া কোর্ট ও ময়দানের দিক দিয়ে কেওড়াপাড়া ঘাট পর্যন্ত। এটি ছিল শিবপুর রুটের ট্রাম লাইন।

Whatsapp Broadcast Join Now

যেহেতু শিবপুর ট্রাম ডিপোতে ট্রাম ঘোরাবার পর্যাপ্ত জায়গা ছিল না, পাশাপাশি ওই ডিপোতে লুপ লাইন ছিল না তাই দু’দিকেই চালকের কেবিন ছিল। তবে এই পরিষেবা ১৯৭১ সাল নাগাদ বন্ধ হয়ে যায়। যদিও এখন এই ট্রাম ফেরাতে উদ্যোগী রাজ্য পরিবহন দফতর। সূত্রের খবর, রাজ্য ধর্মতলা থেকে ময়দান আবার ময়দান থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত যে হেরিটেজ রুটে ট্রাম চালানোর পরিকল্পনা করছে সেই রুটে দুই ইঞ্জিনের ট্রাম চালানো হবে।

আরও পড়ুনঃ বন্ধ হয়ে যাবে শিক্ষকহীন স্কুল, পড়ুয়াদের নিয়ে শেষ সরস্বতী পুজো চন্দ্রকোণার বিদ্যালয়ে

Whatsapp Group Join Now

এই বিষয়ে ক্যালকাটা ট্রাম ইউজারস অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে দীপ দাস জানিয়েছেন, একটি ট্রামকে নোনাপুকুরে প্রায় ৫ মাস ধরে দুই ইঞ্জিনের ট্রামে রূপান্তরিত করার কাজ চলছে। প্রথমে WBTC ময়দানে একটি ট্রামের লুপ (লুপের মাধ্যমে লাইন পরিবর্তন করে ট্রাম) তৈরি করার কথা ছিল। কিন্তু যেহেতু ওটা সেনার জমি তাই জানা যায়, সেনার তরফে লুপ তৈরির অনুমতি মেলেনি। তারপরেই দু’দিকে ইঞ্জিন বসানো ট্রাম তৈরি করার পরিকল্পনা করা হয়।

সঙ্গে থাকুন ➥
X