শ্বেতা মিত্র, কলকাতাঃ উৎসবের মরসুম শেষ হতে না হতেই এবার রাজ্যের শিক্ষা ব্যবসায় নতুন করে বড় রকমের পরিবর্তন ঘটতে চলেছে। আপনিও কি রাজ্য সরকারি কর্মী? বিশেষ করে শিক্ষকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত? তাহলে আজকের এই প্রতিবেদনটি রইল শুধুমাত্র আপনার জন্য। যা জানা যাচ্ছে খুব শীঘ্রই শিক্ষা দফতরের তরফে একের পর এক শিক্ষককে ট্রান্সফার করার নির্দেশিকা জারি করা হবে। মূলত জেলাভিত্তিক ট্রান্সফার করা হবে শিক্ষকদের বলে খবর। এ বিষয়ে ইতিমধ্যে শিক্ষা দফতরের তরফে তোরজোড় শুরু হয়ে গিয়েছে বলে শোনা যাচ্ছে।
বড় সিদ্ধান্ত শিক্ষা দফতরের
আসলে রাজ্যের স্কুল শিক্ষা দফতরের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি বিনোদ কুমার শনিবার ঘোষণা করেছেন যে রাজ্য পরিচালিত স্কুলগুলিতে ছাত্র-শিক্ষক অনুপাত (পিটিআর) বজায় রাখতে স্কুল শিক্ষকদের বদলি প্রক্রিয়া আবার শুরু করা হয়েছে। সিআইআই ইস্টার্ন রিজিয়ন আয়োজিত ‘এডুকেশন ইস্ট সামিট ২০২৪’-এর দ্বিতীয় দিনে তাঁর মূল বক্তব্যে বিনোদ কুমার বলেন, “আমাদের বর্তমান পিটিআর প্রায় ৩০:১। আমরা শিক্ষকদের পুনর্বণ্টনের ব্যবস্থা বাস্তবায়ন করেছি। আমাদের লক্ষ্য হ’ল বেশি সংখ্যক শিক্ষার্থী এবং কম শিক্ষক এবং কম শিক্ষার্থী এবং বেশি শিক্ষক রয়েছে এমন স্কুলগুলির মধ্যে ব্যবধান কমিয়ে আনা।’
সারপ্লাস ট্রান্সফার প্রক্রিয়া
সারপ্লাস শিক্ষকদের নিম্ন ছাত্র-শিক্ষক অনুপাতের স্কুলে স্থানান্তরের প্রক্রিয়াটিকে ‘শিক্ষকদের যৌক্তিকীকরণ’ বলা হয়, যা ২০২৩ সালে শুরু হয়েছিল। উচ্চ প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে প্রায় ৬০০ শিক্ষককে সারপ্লাস হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছিল। পিটিআর বজায় রাখার জন্য, পশ্চিমবঙ্গ স্কুল সার্ভিস কমিশন (ডাব্লুবিএসএসসি) আইন, ১৯৯৭-এর ধারা ১০সি এর অধীনে প্রশাসনিক বদলির বিধান প্রয়োগ করে তাদের বদলির প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল।
কিন্তু এই প্রক্রিয়া স্থগিত হয়ে যায় যখন কিছু শিক্ষক সংগঠন এই আইনের ১০সি ধারার অধীনে বিধানের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টে (এইচসি) আবেদন করে। এটি রাজ্য সরকারকে প্রশাসনিক কারণে এক রাজ্য সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুল থেকে অন্য স্কুলে শিক্ষকদের বদলির নির্দেশ দেওয়ার ক্ষমতা দেয়।সুপ্রিম কোর্টের এই সিদ্ধান্তের পর সারপ্লাস শিক্ষকদের বদলির প্রক্রিয়া ফের শুরু করেছে শিক্ষা দফতর। বিনোদ কুমার সিআইআই প্রোগ্রামে এটি নিশ্চিত করেছেন। শিক্ষা দফতর সূত্রে খবর, প্রায় ১৩০০ শিক্ষককে সারপ্লাস হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।