প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: গত বছর অক্টোবরে সুপ্রিম কোর্ট অন্তর্বর্তী নির্দেশে স্পষ্ট জানিয়েছিল যে, রাজ্য ২০১৭-র আগে যে সকল স্কুল শিক্ষক-শিক্ষিকারা নিযুক্ত হয়েছে তাঁদেরকে আপাতত দূরের জেলায় বদলি করা যাবে না। কিন্তু চলতি বছর গত মাসের ২৬ তারিখ শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীদের মামলা খারিজ করে বিচারপতি জেকে মহেশ্বরী ও বিচারপতি রাজেশ বিন্দলের বেঞ্চ রাজ্য সরকারের হাতে যেখানে সেখানে বদলির ক্ষমতা আবার ফিরিয়ে দিল। আর তাতেই সিঁদুরে মেঘ দেখছে রাজ্যের শিক্ষক শিক্ষিকারা।
শিক্ষক বদলিতে আর কোনো বাঁধা রইল না! West Bengal Teachers Transfer Case
সুপ্রিম কোর্টের মাধ্যমে রাজ্যের হাতে ক্ষমতা ফিরে আসায় রীতিমত উদ্বিগ্ন রাজ্যের শিক্ষক, শিক্ষিকারা। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরে শিক্ষক মহলের একাংশ মনে করছেন, হাইকোর্টের নির্দেশের পর সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার আগে সরকারের সঙ্গে একপ্রকার আলোচনা করলে সমাধানের পথ খোঁজা সহজ ছিল। কিন্তু এইমুহুর্তে সেই পথ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেল। কারণ এই রায়ের পর ঘুরপথে সরকার এর লাভ হল। কারণ এখন থেকে শিক্ষকদের যেকোনো জায়গায় বদলি করতে আর কোন সমস্যা রইলো না স্কুল সার্ভিস কমিশনের।
মামলায় সংগঠনের পক্ষ নিল না সুপ্রিম কোর্ট
আসলে স্কুল সার্ভিস কমিশনের একটি আইনে শিক্ষকদের যে কোন জায়গায় বদলি করা যায়, আর এই পদ্ধতিকে বলা হয় সারপ্লাস টিচার ট্রান্সফার। কিন্তু বর্তমানে সেটি পরিবর্তিত হয়ে 10 C টিচার ট্রান্সফার এ পরিণত হয়েছে। গত এক বছর আগে স্কুল সার্ভিস কমিশন শিক্ষকদের ট্রান্সফারের জন্য এই 10 C আইন প্রয়োগ করে শিক্ষকদের বিভিন্ন জায়গায় ট্রান্সফার করেছিলেন। আর এ নিয়ে একটি শিক্ষক সংগঠন মামলা করেছিলেন । কিন্তু সেই মামলায় রায় সংগঠনের পক্ষ নেয়নি।
আরও পড়ুনঃ মুখ্যমন্ত্রীকে আইন, ব্যাকরণের ভুল ধরিয়ে দেন মনীষা ঘোষ! কে এই জুনিয়র ডাক্তার? রইল পরিচয়
এই প্রসঙ্গে মাধ্যমিক শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির নেতা অনিমেষ হালদার জানান, “এই রায়ে আমরা হতাশ। শীর্ষ আদালত আমাদের কোনও যুক্তি না শুনেই হাই কোর্টের রায় বহাল রাখল। এর ফলে সরকার যে কারও উপর প্রতিহিংসা পরায়ণ হয়ে বাধ্যতামূলক বদলি নীতি গ্রহণ করতে পারে। আমরা এই রায় পর্যালোচনা করার অনুরোধ জানিয়ে রিভিউ পিটিশন দায়ের করব।”