প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: গত ৩ এপ্রিল ২০১৬ সালের এসএসসি-র (SSC) সম্পূর্ণ প্যানেল বাতিল করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। যার জেরে রাজ্যজুড়ে চাকরি হারিয়েছেন ২৫ হাজার ৭৫২ জন শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মী। আচমকা সুপ্রিম কোর্টের এই রায়ে পায়ের তোলার মাটি সরে গিয়েছে সকল চাকরিহারাদের। তাঁদের একটাই দাবি অযোগ্যদের জন্য কেন সকল যোগ্য প্রার্থীদের চাকরি চলে গিয়েছে ? আর এই নিয়ে জেলায় জেলায় বিক্ষোভ শুরু হয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ
এদিকে সেই বিক্ষোভের আঁচ কমানোর জন্য ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চাকরিহারাদের আবেদনে সাড়া দিয়ে গত ৭ এপ্রিল নেতাজি ইন্ডোরে চাকরিহারাদের সভায় উপস্থিত হয়ে তাঁদের পাশে দাঁড়ান। সেখানে তিনি সুপ্রিম কোর্টের রায় নিয়ে নিজের মতামত জানানোর পাশাপাশি রাজ্যের প্রতি ভরসা রাখার কথা জানিয়েছেন। অন্যদিকে নেতাজি ইন্ডোরের সভায় চাকরিহারা শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীদের স্কুলে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন। কারণ সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরে শিক্ষা দফতর ওই শিক্ষকদের স্কুলে যোগদানের বিষয়ে কোথাও স্পষ্ট ভাবে তাদের তরফে কিছু জানানো হয়নি। এর ফলে অনেক শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মী স্কুলে যোগ দিয়েছিলেন। আর এই নিয়ে রাজ্যের সরকার পোষিত এবং সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলগুলিতে স্থিতাবস্থা চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। সেখানে আবেদন জানানো হয় যে, যত দিন না নতুন নিয়োগপ্রক্রিয়া সম্পন্ন হচ্ছে তত দিন ‘যোগ্য’ চাকরিহারাদের চাকরিতে বহাল রাখা হোক।
শিক্ষাকর্তাদের বিরুদ্ধে অবমাননার নোটিস
এদিকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায় স্কুলে যাচ্ছিলেন অনেক শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মী। এবার সেই শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীরা কেন স্কুলে যাচ্ছেন, তা নিয়ে মামলা করল এসএসসি মামলার মূল মামলাকারী ববিতা সরকার, সেতাব উদ্দিন, নাসরিন খাতুন, লক্ষ্মী তুঙ্গা এবং আব্দুল গনি আনসারি। যার ভিত্তিতে মামলাকারীদের আইনজীবী ফিরদৌস শামিম এবং গোপা বিশ্বাস আইনি নোটিস দিলেন শিক্ষা দফতরের সচিব বিনোদ কুমার, শিক্ষা দফতরের কমিশনার অরূপ সেনগুপ্ত, স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায়কে। গত ৯ এপ্রিল পাঠানো হয়েছিল সেই নোটিসটি।
আরও পড়ুনঃ চাকরি বাতিলের মাঝেই বদলি নিয়ে বড় পদক্ষেপ রাজ্য সরকারের! স্বস্তি পেলেন শিক্ষকরা
মমতার বিরুদ্ধে আইনি নোটিস
এর আগে চাকরি বাতিল প্রসঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের রায় নিয়ে ‘মন্তব্য’ করার অভিযোগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আদালত অবমাননার আইনি নোটিস দিয়েছিলেন আইনজীবী সিদ্ধার্থ দত্ত। সেই নোটিশে দাবি করা হয়েছে যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তার মন্তব্যের মাধ্যমে ইচ্ছাকৃত, পরিকল্পিত ভাবে ভারতের সুপ্রিম কোর্টের রায়ের প্রতি অবমাননা করেছেন। এদিকে মুখ্যমন্ত্রীকে লেখা সিদ্ধার্থের এই নোটিস নিয়ে সরব হয়েছেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। তিনি অভিযোগ করেছেন, চাকরিহারাদের চাকরি ফিরিয়ে দেওয়ার প্রক্রিয়ার গতি মন্থর করতেই মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে এই আইনি নোটিস দেওয়া হয়েছে।
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join Hood Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join Hood Rashifal |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |