মালদার হোটেলে নিষিদ্ধ বাংলাদেশিরা

Published on:

malda

প্রীতি পোদ্দার, মালদা: গত কয়েকমাস ধরেই অস্থির অবস্থা তৈরি হয়েছে গোটা বাংলাদেশ জুড়ে। অভিযোগ উঠেছে সেদেশে বসবাসকারী সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপর নিপীড়নের ঘটনা নিয়ে। ইতিমধ্যেই আদালত ১ মাসের জেলবন্দীর নির্দেশ দিয়েছে সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাসকে। জানা গিয়েছে, পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর নির্যাতন চালাচ্ছে সে দেশের মৌলবাদীরা। এখানেই থেমে থাকেননি এরা, ভারতের জাতীয় পতাকার অবমাননাও করেছে। যার ফলে ভারতের কোণায় কোণায় তীব্র প্রতিবাদ মিছিল সভা তৈরি হয়েছে। আর এই আবহেই এবার ত্রিপুরার পর পশ্চিমবঙ্গের মালদা জেলায় বাংলাদেশীদের জন্য হোটেলের দরজা বন্ধ করার ঘোষণা হল।

ত্রিপুরার পর এবার বাংলাদেশীদের নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত মালদায়

WhatsApp Community Join Now

সূত্রের খবর, বাংলাদেশীদের বৈধ পাসপোর্ট, ভিসা থাকলেও ওপার বাংলার কোনও নাগরিককে হোটেলের রুম দেওয়া হবে না। আর এই নিয়ম কার্যকরী করা হয়েছে গতকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার থেকে। মালদার ইংলিশবাজার শহরের সমস্ত হোটেল মালিককে সংগঠনের তরফ থেকে এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, মালদার ইংলিশবাজার থানার মহদিপুর স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ থেকে প্রতিদিন আড়াইশো থেকে তিনশোর বেশি বাংলাদেশি নাগরিক ভারতে আসেন। অনেকেই মালদহের হোটেলে ওঠেন। এর ফলে মালদা ব্যবসায়ীদের অনেক লাভ হয়।

কী বলছেন মালিক সংগঠন?

মালদা জেলা হোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন এর সম্পাদক কৃষ্ণেন্দু চৌধুরী বলেন, ‘‌ব্যবসার কথা ভাবলে আমাদের লোকসান হবে। কিন্তু বাংলাদেশে যে অশান্তি চলছে, তাতে আমরা আতঙ্কিত। কারণ বৈধ কাগজপত্র নিয়েই যে বাংলাদেশীরা ভারতে আসছেন সেটা কেমন করে নিশ্চিত করা সম্ভব? অনেক সময় জাল নথি নিয়েও অনেকে আসছেন। তাই আইনি সমস্যায় কেউ জড়াতে চায় না। সেই কারণে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে এখন বাংলাদেশ নাগরিকদের হোটেল ভাড়া দেওয়া হবে না।’‌

অন্যদিকে হোটেল মালিকদের সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানিয়েছে মালদহ মার্চেন্ট চেম্বার অফ কমার্স। সংগঠনের সম্পাদক উত্তম বসাক বলেন, ‘বাংলাদেশে এখন অশান্তির পরিবেশ। বৈধ কাগজপত্র ছাড়া দুষ্কৃতীরাও চোরাপথে অনুপ্রবেশ করতে পারে। পরে আইনি সমস্যায় পড়তে পারেন হোটেল মালিকরা’।

সঙ্গে থাকুন ➥
X